সুরের কুশপুত্তলিকা নির্ম্মাণ করিয়া তাহাকে বাজারে প্রদক্ষিণ করে। সকলে পড়িয়া তাহাকে উত্তমরূপ প্রহার করে এবং সকলের নিকট ধান্য ভিক্ষা করে। সন্ধ্যার পর মহাসমারোহে উক্ত অসুরের দাহকার্য্য সমাধা হয়। এই প্রকারে দেশ হইতে ঘাটাসুরের বিদূরণ ব্যাপার সমাধা হয়। ইহা বালকদিগেরই উৎসব।
৫। বাঁহরাযাত্রা—ইহা একেবারে নেওয়ারদিগের উৎসব এবং নেওয়ারগণ কর্ত্তৃক বৎসরে দুইবার সম্পন্ন হইয়া থাকে; যথা—৮ই শ্রাবণ এবং ১৩ই ভাদ্র। বৌদ্ধমার্গী নেওয়ারদিগের মধ্যে পুরোহিত অর্থাৎ ভিক্ষুক সম্প্রদায় বর্ত্তমান সময়ে বাঁহরা নামে অভিহিত হইয়া থাকে। এখন বৌদ্ধধর্ম্মের দুর্গতির আর বাকী কিছু নাই। ভিক্ষুদিগের ভিক্ষাব্রত আর নাই। কিন্তু এই দুই দিবস তাহাদিগের পূর্ব্বব্রত স্মরণের দিন। এই দুই বিশেষ দিনে নেওয়ারগণ তাহাদিগের গৃহ বিপণি উত্তম রূপে সজ্জিত করে। নারীগণ গৃহদ্বারে ভাণ্ডপূর্ণ চাউল লইয়া বসিয়া থাকে। বাঁহরাগণ পূর্ব্বপুরুষদিগের ভিক্ষাব্রত স্মরণ করিয়া দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার্থ উপস্থিত হয়। নারীগণ সকলকে ভিক্ষা দিয়া কৃতার্থ হয়। নেওয়ারগণ সময়ে সময়ে এই উৎসবে রাজাকে নিমন্ত্রণ করিয়া তাঁহাকে রৌপ্যময় সিংহাসন সুবর্ণ-ছত্র প্রভৃতি উপহার দিয়া থাকে। বর্ত্তমান সময়ে বৌদ্ধ নেওয়ারদিগের ইহা এক মহা উৎসব।
৬। রাখীপূর্ণিমা——শ্রাবণের সংক্রান্তিতে এখানে রাখিপূর্ণিমার উৎসব হয়। এই উৎসবে হিন্দু বৌদ্ধ সকলেই যোগ দিয়া থাকেন। বৌদ্ধগণ এই দিবসে নদীতে স্নান এবং দেবতা দর্শন