করেন। ব্রাহ্মণগণ সকলের হস্তে রাখী বন্ধন করে। এবং প্রতি দানে বিস্তর দক্ষিণা লাভ করে। অনেকে এই সময়ে গোঁসাইথান নামক হিমালয়ের উন্নত শিখরে ভ্রমণ করে।
৭। নাগপঞ্চমী—৫ই শ্রাবণ নাগপঞ্চমীর পূজা সম্পন্ন হয়। এই দিবস নাগযুদ্ধে গরুড় জয়লাভ করিয়াছিল। পাটনে চন্দ্রনারায়ণ নামে গরুড়ের যে প্রস্তর মূর্ত্তি আছে এই দিবসে তাহা ঘর্ম্মাক্ত হয়। পুরোহিতগণ একখণ্ড কাপড়ে সেই ঘর্ম্ম মুছিয়া রাজার নিকট প্রেরণ করে। লোকের বিশ্বাস সর্পাঘাতগ্রস্ত রোগীকে এই কাপড়ের একটী সূতা জলে ডুবাইয়া পান করাইলে সর্পবিষ স্খালিত হয়।
৮। জন্মাষ্টমী—ভাদ্রমাসে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনে এই উৎসব হইয়া থাকে। জনসাধারণ এই দিবসে আপন আপন গৃহ সুসজ্জিত করে।
৯। গাইযাত্রা-ভাদ্রমাসের প্রথম দিবসে এই পার্ব্বণ হয়। ইহা নেওয়ারদিগের মধ্যেই প্রচলিত। বৎসরের মধ্যে যাহাদিগের গৃহে কাহারও মৃত্যু হইয়াছে তাহারাই এই পার্ব্বণে যোগ দিয়া থাকে। এই দিবসে কোন ব্যক্তিকে সেই মৃত ব্যক্তির ন্যায় সজ্জিত করিয়া তাহাকে চতুষ্পদ বিশিষ্ট করিয়া রাজার বাড়ীতে লইয়া নৃত্য করে। ইহা এক অপূর্ব্ব উৎসব। স্বয়ং মহারাণীর মৃত্যু হইলেও তাঁহার এক গাভীমূর্ত্তি এই দিবসে করা হয়। এই মূর্ত্তিকে রাজ্ঞীর ন্যায় সুসজ্জিত করিয়া চতুষ্পদবিশিষ্ট করে।
১০। বাঘযাত্রা—ইহাও ভাদ্রমাসে হইয়া থাকে। ব্যাঘ্র-