মূর্ত্তি গ্রহণ করিয়া লোকের বাড়ী বাড়ী নৃত্য করিয়া আমোদ করিয়া বেড়ায়।
১১। ইন্দ্রযাত্রা—২৬শে ভাদ্র নেওয়ারদিগের মধ্যে এই মহোৎসব সম্পন্ন হইয়া থাকে। এই দিবসে একটী উচ্চ কাঠের স্তম্ভ রাজার বাটীর সম্মুখে রোপণ করা হয়। তখন সকলে নানাপ্রকার মুখোস পরিয়া ইহার চারিদিকে নৃত্য করে। তৃতীয় দিবসে কয়েকটী কুমারীকে রাজার সম্মুখে আনিয়া পূজা করা হয়। কুমারীগণ পূজিত হইলে তাহাদিগকে রথে বসাইয়া সহর প্রদক্ষিণ করা হয়। সহর প্রদক্ষিণানন্তর রাজবাটীর সম্মুখে রথ উপনীত হইলে রাজার গদি কুমারীদিগের সম্মুখে বিস্তৃত করা হয়। কখন কখন রাজ তদুপরি স্বয়ং উপবেশন করেন। রাজার অবর্ত্তমানে তাঁহার তরবারি তদুপরি রক্ষিত হয়। ইন্দ্রযাত্রা নেওয়ারদিগের চিরস্মরণীয় হইয়া আছে। এই দিবস পৃথ্বীনারায়ণ গুপ্তভাবে কাঠমণ্ডু সহরে কতিপয় সহচর সমভিব্যাহারে প্রবেশ করিয়াছিলেন। নেওয়ারগণ এই উৎসবে এত মত্ত ছিল যে, তাহারা কিছুই জানিতে পারে নাই। কুমারীগণ সহর প্রদক্ষিণ করিয়া রাজবাটীর সম্মুখে উপস্থিত হইলে যখন রাজার গদি বিস্তৃত হইল, তখন পৃথ্বীনারায়ণ স্বয়ং তাহাতে উপবেশন করিয়া আপনাকে রাজা বলিয়া ঘোষণা করিলেন।
১২। দশমী বা দুর্গোৎসব- বঙ্গদেশে যেমন দুর্গোৎসব হইয়া থাকে সেরূপ এখানেও হইয়া থাকে। বর্ত্তমান সময়ে ইহাই নেপালের জাতীয় উৎসব। নেপালের সমুদায় জনসাধারণ