বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেপালের কয়েকটি প্রসিদ্ধ স্থান।
৬৭

অংশে বিভক্ত; (১) মালিরাম, (২) কাচি, (৪) পালপা, (৩) ধবলগিরি। ধবলগিরি হইতে গোঁসাইথান পর্ব্বতের দক্ষিণে,— ইহাই সপ্তগণ্ডকী প্রদেশ। গণ্ডকীর সপ্তশাখা এই প্রদেশে প্রবাহিত। ইহা নেপালের মধ্যাংশ। গণ্ডকীর এই সপ্তশাখা যথাক্রমে (১) বরিগর (২) নারায়ণী (৩) সইত গণ্ডকী (৪) মারসংতি (৫) দারামদি (৬) গণ্ডী (৭) ত্রিশূলগঙ্গা।

 ত্রিশূলগঙ্গা—গণ্ডকী প্রদেশের পূর্ব্বতম সীমান্তবর্ত্তিণী। নদী। গোঁসাইথান পর্ব্বতের শিখরস্থিত দ্বাবিংশতি হ্রদের মধ্যে সর্ব্বাপেক্ষা বৃহত্তম হ্রদে ইহার জন্ম।

 গোঁসাইথান—নেপালের একটী উন্নত শিখর। গোঁসাইথান নেপালীদের এক প্রধান তীর্থ। গোঁসাইথানের চিরতুষারাবৃত শিখরের নিম্নেই স্তরে স্তরে দ্বাবিংশতিটী তুষার বারিপূর্ণ হ্রদ আছে। এই সকল হ্রদের নিম্নে জিবজিবিয়া পর্ব্বতমালা প্রকার স্বরূপ হইয়া দণ্ডায়মান আছে। এই জিবজিবিয়া দক্ষিনমুখী হইয়া অবশেষে কাঠমণ্ডু উপত্যকার উত্তরে ১৫০০০ ফিট উন্নত মস্তক উত্তোলন করিয়া দণ্ডায়মান রহিয়াছে। গোঁসাইথানের বৃহত্তম হ্রদই নীলকণ্ঠকুণ্ড নামে প্রসিদ্ধ। নেপালে এরূপ কথিত আছে, সমুদ্র মন্থন কালে কালকুট পান করিয়া বিষের যন্ত্রণায় মহাদেব হিমালয়ে প্রস্থান করিয়াছিলেন এবং গোঁসাইথানের হিমজলে অবগাহন করিয়া শীতল হইয়াছিলেন, তাঁহার ত্রিশূলের আঘাতে হিমালয়ের বক্ষ ভেদ করিয়া ত্রিশূলগঙ্গা প্রবাহিত হইল এবং ত্রিশূলগঙ্গার জল পান করিয়া নীলকণ্ঠের