জ্বালা বিদূরিত হইল। এক্ষণে নীলকণ্ঠকুণ্ডের মধ্যে একটী পর্ব্বত নিমজ্জিত আছে, তীর্থযাত্রীগণ তাহাকে প্রকৃত নীলকণ্ঠ বিবেচনা করিয়া ভক্তিগদ হৃদয়ে নিরীক্ষণ করে। কিন্তু সেই হ্রদের তুষার শীতলজল কেহই স্পর্শ করিতে পারে না। কাটমণ্ডু উপত্যকা হইতে শত শত যাত্রী গোঁসাইথানে তীর্থ করিতে যায়। গোঁসাইথানের পথ অতি বিপদজনক। পথে কোন আশ্রয় নাই, কোন প্রকার খাদ্যের সংস্থান নাই, শীতও অতি দুরন্ত। ভীষণ শীতে যাত্রীগণ বাহিরেই রাত্রি যাপন করে। পথের দারুন কষ্টে অনেকের প্রাণ বিয়োগ হয়; তথাপি কষ্ট স্বীকার করিয়াও দলে দলে লোক গোঁসাইথানে গমন করে।
নায়কোট—নায়াকোটের উপত্যকা দিয়া ত্রিশূলগঙ্গা প্রবাহিত হইয়াছে। এই উপত্যকায় প্রচুর পরিমানে ফল শষ্য জন্মে। কিন্তু এখানে ম্যালেরিয়ার বড়ই প্রদুর্ভাব। গণ্ডকী নদীর পশ্চিম তটে পশ্চিম নায়াকোট। দ্বাদশ শতাব্দীতে মুসলমান অত্যাচারে অস্থির হইয়া রাজপুতগণ প্রথমে এখানে আশ্রয়লাভ করে। পরে গোরখালি নামক প্রদেশ অধিকার করিয়া স্থায়ীরূপে বাস করে। গোরখালি হইতে এই গোর্খা নামের উৎপত্তি।
পাল্পা-কাটমণ্ডু হইতে ৬৩ ক্রোশ এবং বিটুলের নয় ক্রোশ উত্তর পশ্চিমে ইহা অবস্থিত। পালপার পাঁচ মাইল দূরে নেপাল রাজের একটী প্রধান সৈন্যাবাস আছে। পালপার শাসন কর্ত্তা সর্ব্বদাই রাজবংশসম্ভূত ব্যক্তিগণ হইয়া থাকেন। এই স্থানে মুদ্রাসকল প্রস্তুত হইয়া থাকে। পালপার অন্তর্গত গুলমি নামে