পাতা:পওহারী বাবা.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

প্রথম অধ্যায়

 সহস্র সহস্র ঘটনায় যে কারণকে এখন কার্য্যরূপে পরিণত হইতে দিতেছে না, তাহা শীঘ্র বা বিলম্বে কার্য্যরূপে প্রকাশিত হইবে; এবং এখন যতই শক্তিহীন হউক না কেন, জড়জগতে শক্তিশালী চিন্তার গৌরবের দিন আসিবে। আর যে আদর্শে ইন্দ্রিয়সুখ প্রদানের সামর্থ্য হিসাবে সকল বস্তুর গুণাগুণ বিচার করে, সে আদর্শও ঠিক নহে।

 যে প্রাণী যত নিম্নতর, সে ইন্দ্রিয়ে তত অধিক সুখ অনুভব করে, সে তত অধিক পরিমাণে ইন্দ্রিয়ের রাজ্যে বাস করে। সভ্যতা—যথার্থ সভ্যতা অর্থে বুঝা উচিত—বাহ্য সুখের পরিববর্ত্তে উচ্চতর রাজ্যের দৃশ্য দেখাইয়া ও তথাকার সুখ আস্বাদ করাইয়া পশুভাবাপন্ন মানবকে অতীন্দ্রিয় রাজ্যে লইয়া যাইবার শক্তি।

 মানব প্রাণে প্রাণে ইহা জানে। সকল অবস্থায় সে ইহা স্পষ্টরূপে নিজেও না বুঝিতে পারে। ধ্যানময় জীবন সম্বন্ধে তাহার হয়ত ভিন্ন মত থাকিতে পারে। কিন্তু এ সকল সত্ত্বেও তাহার প্রাণের এই স্বাভাবিক ভাব লুপ্ত হয় না, উহা সদাই প্রকাশ হইবার চেষ্টা করে—তাহাতেই সে বাজীকর, বৈদ্য, ঐন্দ্রজালিক, পুরোহিত অথবা বিজ্ঞানের অধ্যাপককে সম্মান না করিয়া থাকিতে পারে না। মানব যে পরিমাণে ইন্দ্রিয়ের রাজ্য ছাড়াইয়া আসিয়া উচ্চ ভূমিতে বাস করিবার শক্তিলাভ করে, তাহার ফুসফুস যে পরিমাণে বিশুদ্ধ চিন্তাবায়ু গ্রহণ করিতে পারে এবং যতটা