তাঁহার প্রস্তুত গুহাতে বেশী বেশী বাস করিতে লাগিলেন। আমরা শুনিয়াছি, সেই গুহায় তিনি দিনের পর দিন ও মাসের পর মাস ধ্যানমগ্ন হইয়া থাকিতেন, তার পর বাহির হইতেন। এই দীর্ঘকাল তিনি কি খাইয়া থাকিতেন, তাহ কেহই জানে না, তজ্জন্য লোকে তাহাকে পও-আহারী অর্থাৎ বায়ুভক্ষণকারী বাবা বলিতে আরম্ভ করিল।
তিনি তাঁহার জীবনে কখন এই স্থান ত্যাগ করেন নাই। একবার তিনি এত অধিকদিন ধরিয়া ঐ গুহার মধ্যে ছিলেন যে, লোকে তাঁহাকে মৃত বলিয়া স্থির করিয়াছিল। কিন্তু অনেক দিন পরে আবার বাবা বাহির হইয়া বহুসংখ্যক সাধুকে এক ভাণ্ডারা দিলেন।
যখন তিনি ধ্যানে মগ্ন না থাকিতেন, তখন তিনি তাঁহার গুহার মুখের উপরিভাগে অবস্থিত একটী গৃহে বাস করিতেন, আর এই সময়ে যাহারা তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিত, তাহাদের সহিত সাক্ষাৎ করিতেন। তাঁহার যশঃ সৌরভ চতুর্দ্দিকে বিস্তৃত হইতে লাগিল আর গাজিপুরের অহিফেনবিভাগের রায় গগনচন্দ্র বাহাদুর—যিনি স্বাভাবিক মহত্ত্ব ও ধর্ম্মপ্রবণতার জন্য সকলেরই প্রিয় হইয়াছেন—আমাদিগকে এই মহাত্মার সহিত আলাপ করাইয়া দেন।
ভারতের আরও অনেক মহাত্মার ন্যায়, এই জীবনেও