পাতা:পঞ্চক মালা - বিজয় চন্দ্র মজুমদার.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সুগত পঞ্চক

মনে মনে দেবতার চরণ বন্দিয়া,
গোতমীর আঁখি ধারা চুম্বনে মন্দিয়া
কপোল-লম্বিত কেশ সরায়ে যতনে,
কহিলেন শুদ্ধোদন, রমণী-রতনে -
“দেবী তুমি হে গোতমী, অনাথ-জননী;
তোমারি কুমার এই নয়নের মণি।”


সুধা-তৃপ্ত-কণ্ঠে শিশু পড়িল ঘুমায়ে।
অতৃপ্ত নয়নে দেবী, বদন নুয়ায়ে,
হেরিতে শিশুর কান্তি জন্মিল বিস্ময়।
দেবতা কি হবে শিশু? মনেতে সংশয়।
হেরিয়া অঙ্গের চিহ্ন ভাবেন আবার,
“মহারাজ-চক্রবর্তী হইবে কুমার।”
“হাতে পায়ে পদ্ম আঁকা সোণার বরণে;
যাচিবে নিখিল বিশ্ব শরণ চরণে।”


অপার্থিব সুখ-রস উগলে অন্তরে;
জাগরণে স্বপ্ন যেন শিরায় সঞ্চরে।
দেবগণ ঢাকি’ তনু দীপ্তি আচ্ছাদনে,
গাহিল যেন রে গীতি বীণার বাদানে।