পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালচক্ৰ । তাহার অনুরোধ রক্ষা করিতে স্বীকৃত হইলেন এবং উপযুক্ত লোকের হন্তে সম্পত্তি পৰ্যবেক্ষণের ভার ন্যস্ত করিয়া তিনি আগ্ৰায় প্ৰত্যাবর্তন করিলেন। এদিকে অনুপমা ভীমৰ্চাদের উপর সংসারের ভার অর্পণ করিয়া রবীন্দ্ৰনাথের সহিত তীর্থযাত্ৰা করিলেন । আগ্ৰায় প্ৰত্যাগমন করিয়া কুমার জগৎসিংহ একদিন সম্রাট-নন্দিন মেহেরউলিসার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া কাটোয়া ও ত্ৰিবেণীর ঘটনা আনুপূর্বিক বর্ণনা করিয়াছিলেন। অধিকন্তু সরমার আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি মনে মনে যে চিরকৌমাৰ্য্য-ব্ৰত অবলম্বনের প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন, তাহাও বলিয়াছিলেন। সম্রাট-নন্দিনী মেহেরউন্নিসা কুমারের স্বভাব জানিতেন ; তিনি বুঝিলেন যে, তাহার মনের পরিবর্তন হওয়া অসম্ভব। তিনি আরও বুঝিয়াছিলেন, যে কুমার জগৎসিংহ সরমাকে ভাল বাসিতেন ; কিন্তু তাহার আকস্মিক মৃত্যু কুমারের হৃদয়ে বিষম ঝড় তুলিয়াছে, তাহার প্ৰতিরোধ করিবার সাধ্য র্তাহার নাই। অগত্যা তিনি তঁহাকে আর কোন কথা বলিলেন না । নিরাশার বিষম আঘাতে র্তাহার হৃদয় ভাঙ্গিল । মনের ব্যথা প্ৰকাশ না করিয়া তিনি অন্তরে অন্তরে পুড়িতে লাগিলেন । দিন দিন তঁর স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইতে লাগিল এবং কয়েক মাসের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হইয়া মানবলীলা সম্বরণ করিলেন। ভোগ ঐশ্বৰ্য্যের কোলে পালিতা সম্রাট-নন্দিনী মেহেরউরিসার জীবনকুসুম মুকুলেই শুখাইয়া গেল। মৃত্যুকালে তিনি কুমারকে বলিয়াছিলেন, “কুমার, আমি তোমায় ভালবেসে নিরাশা বুকে নিয়ে চললাম ; কিন্তু স্থির জেনো, য়্যায়সা দিন নেহি রহেগা।” কিন্তু তখন আর প্রতিকারের উপায় কি? —শুধু কুমার জগৎসিংহের নয়নযুগল হইতে কয়েক a