পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অৰ্দ্ধোদয় যোগ । is de - r শাড়ী, স্ফটিনোন্মুখ যৌবনের সমস্ত লক্ষণ সেই কিশোরীর কমনীয় কাস্তির ভিতর হইতে যেন তাহার অজ্ঞাতসারে উকি মালিতেছে । নিতম্ব চুম্বিত কুঞ্চিত কেশদাম আলুথালু, কতক অংসোপরি, কতক কপোলে, কতক পৃষ্ঠে তঃবিক্ষিপ্ত। অশ্রুপূর্ণ ভাসা-ভাসা বড় বড় চোখ দু’টি যেন কাহার অন্বেষণ করিতেছে। আমি বাইসাইকেল হইতে অবতরণ করিলাম । দোহাই পাঠক, আমার কার্য্য দেখিয়া রোমান্সেব কথা তুলিবেন নাআমি চিরকাল রোমান্স কে ঘুণা করিয়া আসিতেছি। আমার হৃদয়ে যে কখনও রোমান্স স্থান পাইবে এইরূপ ভরসা ও রাখি না। কেবলমাত্র কৌতুহলের বশবৰ্ত্তী হইয়াই আমি এইরূপ করিতেছি। যাচাঠ উক, আমি ধীরে ধীরে বালিকার নিকট গমন কবিয়া তাচার রোদনের কারণ জিজ্ঞাসা করিলাম। আমার প্রশ্নে বালিকার মুখের ভাব যেন একটু পরিবৰ্ত্তিত চাইল ;-বিশেষ আগ্রহের সহিত বলিল, “মহাশয়, আমার মামা ও মানীমা আমাকে সঙ্গে লইয়া গঙ্গাস্নান কবিবার জন্য যাইতেছিলেন, আমি তঁাতাদের সঠিত সমভাবে চলিতে না পারায় একটু পিছাইয়া পড়িয়ছিলাম, বনের পথ হইতে এখানে আসিয়া আর তােতাদিগকে দেখিতে পাইতেছি না ।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “তোমার মামার নাম কি ?” ‘বামাচরণ বাবু।” উত্তর শুনিয়া আশ্চৰ্য্য হইলাম। জ্ঞানহীনা বালিকা চয়ন্ত কাহার ও নাম বলিবার রীতি জানে না, -কিন্তু আবার ভাবিলাম, ‘ও কি সম্ভব ? বিংশ শতাব্দীর সভা তালোকে আলোকিত একটা ত্ৰয়োদশবর্ষীয়া বালিকার হৃদয়ে কি এতটা অজ্ঞানান্ধকার থাকা সম্ভবপর ? যাহা হাউক, ভাবিয়া Y&o