পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালচক্ৰ। মুহূৰ্ত্তমধ্যে ভৈরবী কোথায় অদৃশ্য হইলেন ;- রবীন্দ্রনাথ বাকুলভাবে মা”-মা” বলিয়া কতক্ষণ চীৎকার করিলেন-কোন উত্তর পাইলেন না। [ ७ ] নানান্তীৰ্থ পৰ্য্যটন করিয়া রবীন্দ্ৰনাথ অবশেষে জগন্নাথক্ষেত্র দর্শন করিবার স্কুল্প, করিলেন এবং তৎপূর্বে একবার জন্মভূমি দর্শন করিবার ও ಕನ್ತ সেই উদ্দেশ্যে রবীন্দ্ৰনাথ প্ৰথমে ত্ৰিবেণী যাত্ৰা করিলেন । g«Ş জেলার অন্তৰ্গত ত্ৰিবেণী নামক স্থান হিন্দুদিগের একটা প্ৰসিদ্ধ তীর্থ। কথিত আছে, ঐ স্থানীয় জঙ্গলে পূর্বে দুৰ্ব্বত্ত দামুদিগের আড়া ছিল। পথিকেরা সন্ধ্যার পর ঐ সকল স্থান দিয়া প্রায়ই গমনাগমন করিত না । রবীন্দ্ৰনাথের জন্মস্থান ত্ৰিবেণী হইতে ৩ মাইল দূরে । আজকাল সেখানে ইষ্ট ইণ্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানীর মগর নামক ষ্টেসন হইয়াছে ; আগে সেখানে নিবিড় জঙ্গল ছিল। দিবা অপসানপ্ৰায় । তপন দেব স্বনামখ্যাত কেরাণীর ধ্যায় যেন সমস্তদিন পরিশ্রমের পর ক্ৰোধে লোহিতমৃত্তি ধারণ করিয়া স্বীয় আবাসে গমনোদ্দেশ্যে অস্তাচলের পথে আরোহণ করিয়াছেন। বিচগকুলের স্ব স্ব কুলায়গমনকালীন অব্যক্ত মধুৱশব্দে দিগন্ত মুখরিত চাইতেছে। দূরে রাখালগণের প্রকৃতিগত চীৎকার শুনা যাইতেছে। রবীন্দ্ৰনাথ সমস্ত দিন চলিয়া নিতান্ত ক্লান্ত হওয়ায় একটা অশ্বখরুক্ষমূলে উপবেশন করিলেন । অৰ্দ্ধঘণ্টা অতিবাহিত হইতে না হইতে অদূরবস্ত্রী জঙ্গলের মধ্য হইতে রমণী কণ্ঠ-নিঃসৃত করুণ অৰ্ত্তনাদ শুনিতে পাইলেন । অনুমানে বুঝিলেন যে, কোন অসহায় রমণী দাসু্যকর্তৃক আক্রান্ত হইয়া এরূপ যন্ত্রণা d)