পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कृiाष्ट्रक ! হইল, যেন মা ঈশানী জগজ্জননী মূৰ্ত্তিতে আজ তার সম্মুখে । অনুপমার চারুইন্দীবরতুল্য বদনমণ্ডল এক অপূৰ্ব্ব দিব্যজ্যোতিতে আলোকিত! বস্ত্ৰবিতরণ শেষ হইলে অনুপমা পুনরায় রবীন্দ্রনাথের কক্ষে প্ৰবেশ করিলেন এবং বলিলেন ‘রবীনদাদা, দাদা কোথায় ?” “বিশেষ প্রয়োজনে বাহিরে গিয়াছেন।” “ত বেলায় ? কখন ফিরবেন ? “ব’লে গেছেন,—বােধ হয়। আজ ফিরতে পারবেন না ।” “ফিরতে পারবেন না ?” অনুপমা বিস্ময়বিস্ফারিতনেত্রে রবীন্দ্রের মুখের দিকে চাহিলেন । রবীন্দ্র সে চাহিনীর অর্থ বুঝিলেন এবং বলিলেন, “দিদি, তোমার মনে কি কোন সন্দেহ হ’চ্ছে ?” “আমার বোধ হয়। দাদা ডাকাতদের সন্ধানে গেছেন”। এই বলিয়া অনুপমা তাড়াতাড়ি আলমারি খুলিয়া কি যেন অন্বেষণ করিলেন, পাইলেন না। তখন বলিলেন “রবীনদাদা, আমার অনুমান মিথ্যা নয়, দাদা ডাকাতদের সন্ধানেই গেছেন, আলমারিতে তার ‘রিভলভার” নাই।” রবীন্দ্ৰনাথ বলিলেন-“হেম একলা গেল ?” “নিশ্চয়ই একলা গেছেন। আমি দাদাকে বেশ জানি, তিনি বড় একবগগ। আপনি বসুন-আমি আসচি” । এই কথা বলিয়া অনুপমা ক্ষিপ্ৰগতিতে কক্ষ হইতে বাহির হইয়া গেলেন। রবীন্দ্ৰনাথ আবার চিন্তাসাগরে ডুব দিলেন। অনুপমা বাহিরে আসিয়াই একজন পরিচারিকাকে বলিলেন ‘হীরি, ஆ* সর্দারকে ডাক।” পরিচারিকা “আচ্ছ ডাক্‌চি” २७]