পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালচক্ৰ একমাত্র বন্ধু বিপদভঞ্জন মধুসুদনকে ডাকিতেছেন, আর আবিরত অশ্রুবর্ষণ করিতেছেন । সহসা কক্ষদ্বার উন্মুক্ত হইল, একটী বৃদ্ধ কিছু খাদ্যসামগ্ৰী দিইয়া সেই কক্ষে প্ৰবেশ করিল এবং তােহ রবীন্দ্রনাথের সম্মুখে রাখিয়া একটী মৃৎপাত্রে কিঞ্চিৎ পানীয় জল রাখিয়া দিল এবং কক্ষদ্বায় পুনরায়ুরুদ্ধ করিয়া প্ৰস্থান করিল। রবীন্দ্রনাথ ক্ষুধাসত্তেও সেই কদৰ্য্য আহাৰ্য্যদ্রব্যের কিছুমাত্র গ্ৰহণ করিলেন না, যে ভাবে বসিয়াছিলেন সেই ভাবেই বসিয়া রহিলেন । তপন দেব যথাসময়ে উদিত হইয়া আবার যথাকলে অস্তাচল শিখরে আরোহণ করিলেন। রবীন্দ্রনাথের ক্ষুদ্রকক্ষে আবার অন্ধকার ঘনাইয়া अनिवन । বেলা ৭টা বাজিয়াছে। ভীমৰ্চাদ প্ৰত্যুষে উঠিয়া হেমেন্দ্ৰনাথের বাড়ীতে আসিয়া অনুপমার সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য সদর দেউড়ীতে অপেক্ষা করিতেছে। অনুপমা আজ এখনও শয্যাত।াগ করেন নাই । কতক্ষণ পরে অনুপমা বাহিরে আসিলেন। লাবণ্যময়ী অনুপমা সুন্দরীর আজ কি অভাবনীয় পরিবর্তন । তঁহার বদনমণ্ডল শুষ্ক, নয়নকোণে কালিমারেখা অঙ্কিত, চক্ষু রক্তবর্ণ, দৃষ্টি উদাস, অধরোষ্ঠ থাকিয়া থাকিয়া স্পান্দিত হইতেছে। শিশুকে বক্ষে লইয়া অনুপমা প্ৰাঙ্গণে আসিয়া দাড়াইলে পরিচারিকা হীরামণি বলিল, “মা, ভীমে সর্দার আপনার সঙ্গে দেখা কর্বে ব’লে অনেকক্ষণ থেকে বসে আছে।” 8Y