পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালচক্ৰ । তাহা জানি না। বোধ হয় আপনি বেঁচে থাকলে তার কোন অনিষ্টের সম্ভাবনা ৷” সহসী রমণীর দৃষ্টি রবীন্দ্রনাথের অঙ্গুলীস্থ অক্ষুৱীটীর উপর পতিত হওয়ায় তিনি রবীন্দ্রনাথকে বলিলেন, “আপনি এ অঙ্গুৱীয়ক কোথায় পাইলেন ?” “আপনি কি ইহা অন্য কাহারও নিকট দেখিয়াছিলেন ? রবীন্দ্র অঙ্গুলী হইতে অঙ্গরীটী খুলিয়া রমণীর হন্তে প্ৰদান করিলেন, রমণী তাহ নিবিষ্টচিত্তে কিয়ৎক্ষণ দেখিয়া বলিলেন, “হঁ, এইটাই বটে।” রবীন্দ্রনাথ বলিলেন-“চিনিতে পারিলেন কি ?” “এটা আমার মাতার অঙ্গৰী। মাতা যতদিন বেঁচে ছিলেন, তিনি ইহা সর্বদাই পরিয়া থাকিতেন। মাতার মৃত্যুর পর পিতার হস্তে কয়েকদিন দেখিয়াছিলাম।” “আপনার পিতা জীবিত আছেন ?” “জানি না ; কেন না। আমার বয়স যখন ৭ বৎসর তখন আমার মাতার মৃত্যু হয় ; তার কিছুদিন পরে আমি মাতুলালয়ে আসি ; তদবধি পিত্ৰালয়ে शांझे नांछे ।” “এতদিন আপনার পিতা আপনার সংবাদ নেননি। কিম্বা আপনাকে দেখিতে আসেন নাই ?” “পূর্বে আমার মামাকে পত্ৰাদি লিখে আমার সংবাদ নিতেন ; কিন্তু কি জানি কেন, কখনও দেখিতে আসেন নাই। আজকাল পত্ৰাদিও বড় একটা লিখেন না।” “অঙ্গুরীতে কি লেখা আছে ? আপনি পাৱশী জানেন কি ?” tr