পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কালচক্র। “এ সর্পকে তুমিই বিনাশ ক’রেছ ?” “হী জাহাপনা ! যখন আমি এখানে উপস্থিত হই, দেখিলাম ঐ ভীষণ সৰ্প আপনাকে দংশন উদ্দেশে আপনার বাহুমূল পৰ্যন্ত অগ্রসর হইয়াছে, ক্ষণবিলম্ব না করিয়া আমি ঘোড়া হইতে লাফাইয়া পড়িলাম এবং অসি প্ৰহারে সর্পকে খণ্ড-বিখণ্ড করিয়া ফেলিলাম।” “ত্নোমার ঘোড়া কোথায় ?” ‘বেচার। সর্দিািগৰ্ম্মি হয়ে মারা পড়েছে।” ঐ দিন হইতে মহম্মদ সম্রাটের সু-নজরে পড়িলেন। বীরত্ব, বিশ্বাস ও প্ৰভুভক্তির গুণে মহম্মদ আজ দুই হাজারী সেনানায়ক । সম্রাট তাহার গুণে এতদূর মুগ্ধ হইয়াছিলেন যে, নিজের পুত্রের ন্যায় তাহার সকল আবদার সহ করিতেন। অন্দর-মহলেও মহম্মদের গতিবিধি ছিল। দিনের পর দিন যাইতে লাগিল, যৌবনের দুৰ্দম্য লালসার বশবৰ্ত্তী হইয়া মহম্মদ একজনকে ভালবাসিলেন। তিনিই সম্রাট-নন্দিনী কুমারী মেহেরউন্নিসা। কুমায়ী মেহেরউন্নিসার মনের ভাব কিন্তু অন্যরূপ। তিনি তাহাকে শুধু আপনার কাৰ্যোদ্ধারের আশায় সময়ে সময়ে নানাবিধ মিষ্ট Iম্ভাষণে ভুলাইতেন ; কিন্তু অন্তরে তঁহাকে পিতার একজন সামান্য ভৃত্যু লিয়াই জানিতেন। অন্ধপ্রেমিক মহম্মদ ঘূণাক্ষরেও তাহা বুঝিতে পারেন নাই। আদ্যকার ব্যাপারে মহম্মদ মনে বড়ই আঘাত পাইয়াছিলেন। শুধু তাহাঁই নহে, এবিষয়ে কুমার জগৎসিংহকে একজন ষড়যন্ত্রকারী শক্ৰ বলিয়া তঁহার ধারণা হইয়াছে এবং বিশ্বাসঘাতককে উপযুক্ত শাস্তি দিতে কৃতमकब्र श्हेबाcछन । by