পাতা:পঞ্চপল্লব - পাঁচকড়ি চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

夺同历布山 মাত্ৰ, এই চিন্তা তাহার মনোমধ্যে উদিত হওয়ায় তাহার প্রফুল্প বদনমণ্ডল বিষন্নতার তিমিরাবরণে আবৃত হইতেছে। কখনও সাহাজোদী মেহের উন্নিসাকে তঁাহার প্রণয়াকাজিহ্মণী ভাবিয়া কতকটা শাম্ব হইতেছেন। এই সময়ে ভারতসমাট মহারাজ মানসিংহকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “মহারাজ মানসিংহ, কুমার জগৎ সিংহ আপনার যোগ্য পুত্র। পাঠানদিগের সহিত যুদ্ধে কুমার যেরূপ রণনৈপুণ্যের পরিচয় দিয়াছেন, এবং দুরন্ত দাসুদমন করিয়া বঙ্গবাসী প্ৰজাগণকে যেরূপ ৰিপন্মুক্ত করিয়াছেন, ইহা কেবল আপনার নয়, আমারও অত্যন্ত গৌরবের বিষয় ।” তৎপরে মহম্মদ মীর্জাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “মহম্মদ ! প্ৰথম হইতেই তোমার সাহস ও প্ৰভু ভক্তি প্ৰশংসনীয় ; বর্তমান ক্ষেত্রে তোমার কাৰ্য্যে বড়ই প্রীত হইয়াছি।” পরে বন্দী দাসু্যদলপতি বিচারার্থ দরবারে আনীত চাইল । মহারাজ মানসিংহ দমু্যসর্দারকে তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলে দনুসর্দার ধীর। অথচ সদৰ্পে উত্তর করিল, “দসু্য দণ্ডের জন্য সম্রাট দরবারে আনীত হইয়াছে, তাহার পরিচয় জানিবার বোধ হয় প্রয়োজন নাই ।” তাহাৰ এবহুপ্ৰকার সগৰ্ব্ব উত্তরে দরবারের সকলেই সবিস্ময়ে তাহার মুপের দিকে চাহিলেন। এমন কি গম্ভীরমূৰ্ত্তি সাহানসা সম্রাট আকবর সাহের বদন মণ্ডলে বিস্ময়ের চিহ্ন প্ৰকটিত হইল। মহারাজ মানসিংহ পুনরাপ বলিলেন, “যখন বিচারার্থ তুমি এখানে আনীত হইয়াহু, তখন তোমায় সমস্ত বিষয়ই জিজ্ঞাসা করা প্ৰয়োজন এবং সকল প্রশ্নেরই তোমার যথাযথ উত্তর দিতে হইবে।” দন্ত্র্যসন্দার পূর্ববৎ সগৰ্বে উত্তর করিল, “উস্তব দেওয়া না দেওয়া আমার নিজের হাত; বিশেষতঃ মোগলের অন্নদাস [ לר