পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস খণ্ড । ১৮৫ - তার কেশ মুষ্টি ধরে । লীলাতে গরুড় যেন ধরে ফণীবর । সেই মত কেশ ধরিলেন দিয়া কর । টানিয়া লইল৷ প্রভু ংসেরে তখন। মুস্টাঘাত মারি তার বধেন জীবন । বজ্রমুন্টাঘাতে হরি ভূমেতে ফেলিলা । সেই ঘাতে কংসাস্থর জীবন ত্যজিল ৷ কংসরাজ পড়িল যে সর্বব লোক দেখে । মুখেতে উঠিল রক্ত ঝলকে ঝলকে ৷ মৃত্যুকাল দেখি তবে কংস নরপতি । স্ত্রীকৃষ্ণের প্রতি রাজ করিতেছে স্তুতি ॥ নম নম ক্ষীরদসায়ী হে নারায়ণ । আমি অতি মূঢ়মতি কি জানি স্তবন ॥ আছিলাল তব দ্বারী ওহে নারায়ণ । জয় বিজয় নামে মোরা ভাই দুইজন ৷ শত্রুভাবে বর লইয়াছি তবস্থানে । কৃপা করি দীননাথ উদ্ধর এক্ষণে ॥ এইরূপ নানাবিধ করেন স্তবন। সদয় হইয়া প্রভু বলেন বচন ॥ মম করে বাহ এবে বৈকুণ্ঠনগর । জন্ম ন হইবে তোমার আর ধরাপরে ॥ এত যদি দিলা বর প্রভু যদুপতি। বাহির হইল প্রাণ অতি শীঘ্ৰগতি ৷ শ্ৰীচরণ দৃষ্টি করি প্রাণ ত্যাগ কৈল । জয় জয় মহাশব্দ স্থরপুরে হৈল ॥ দেবগণ আদি করে পুষ্প বরিযণ । শ্ৰীকৃষ্ণে করেন স্তব আনন্দিত মন ॥ শ্ৰীকৃষ্ণের করে মরি কংস দৈত্যপতি । দাসে ভণে বৈকুণ্ঠেতে করিলেন গতি ॥ নারীগণের বিলাপ ও বহুদেব দৈবকীর উদ্ধার । ংসপত্ন্যস্ততঃ কংস পরিবাহ হুতং ভুবি। বিলেপুর্বলতর শাস্ত শোক দুঃখ পরিপ্লুতাঃ ॥