পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>なのS) প্রভাস খণ্ড । বলিছেন নন্দ ঘোষে বিনয় বচন ৷ শ্ৰীদামের শাপ আছে আমার উপরে । শতবর্ষ পরে যাব তোমার নগরে ৷ তোমাদের যজ্ঞ ছলে হবে আগমন । সেই ছলে মায়েরে করিব দরশন। এক্ষণেতে যাহ পিতা বুঝাইয়া কবে । যশোদা মায়েরে গিয়া প্রবোধ করিবে ॥ এক্ষণেতে ব্রজে যাহ পিতা মহাশয় । কালেতে সকল হয় জানিহ সিশচয় ॥ কালে স্থঞ্জি করে কালে কালে হরে লয় । কালেতে সকল হয় শুন মহাশয় ॥ এতবলি নন্দরাজে করেন বিদায । কান্দিতে কান্দিতে নন্দ ব্ৰজপুরে যায়। পথ পানে চাহিয়া আছেন যশোমতী। একাকী , নন্দেরে হেরি জিহ্বাসে ভারতী ॥ কহ কহ ব্রজরাজ করি নিবেদন । একাকী আসিছ কেন কোথা পুত্ৰধন । কোথায় রাখিয়া এলে আমার কুমারে । বিবরিয়া মহারাজ কহ দেখি মোরে ৷ শুনিয়া কহেন নন্দ যশোদ সদন । একে একে কৃষ্ণ যাহা বলেছে বচন ৷ শ্রবণেতে অচেতন রাণী যশোমতী ! গোপাল বলিয়া মূচছা হইলেন সতী ॥ সকলেতে প্রবোধ করয়ে ততক্ষণ । কৃষ্ণ বিনে নীরব যে পশুপক্ষগণ । বৎস নাহি দুগ্ধ পীয়ে কৃষ্ণ আদর্শনে। হাম্বারবে উৰ্দ্ধমুখে ডাকে ঘনে ঘনে | সকলেতে কৃষ্ণ বিনে থাকে অচেতন । রাধার সহিত কান্দে যত গোপীগণ ॥ এইরূপে ব্রজমধ্যে অচেতনে রয় ! অপরেতে বিবরণ মহেশচন্দ্র কয় ৷