পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাসখও । २९> . ছিলাম বৃন্দাবনে লীলা কুতুহলে। সেই দিন আর কবে হইবে আমার । রাম কৃষ্ণের শশী মুখ দেখিব আবার । একবার দ্বার ছেড়ে দেহ দ্বারিগণ । কৃষ্ণের সহিত করি কথোপকথন । দ্বারিগণ বলে তবে থাকহ সকলে । এক্ষণেতে হোম যজ্ঞ হয় যজ্ঞস্থলে ॥ এতেক বলিয়া সবে করে নিবারণ । গোপ শিশুগণ সবে করিল গমম | কামেদ গোপ শিশুগণ হইয়া আকুল । নয়নের জলে ভাসে অঙ্গের দুকুল ॥ বলে ওরে কানাই তোর একি বিবেচনা । তোর দ্বারে সকলেতে করি আনাগোণা ৷ কিছু দয়া নাহি তোর ওরে রে নিষ্ঠ র। একবার দেখা দিয়ে দুঃখ কর দূর । গোষ্ঠে মোরা খেলিতাম সবে একাসনে । উচ্ছিষ্ঠ দিয়াছি কত তোমার বদনে ৷ অনাসেতে খেতে তুমি ওরে প্রাণের ভাই। এখন কি হৈনু পর ওরেরে কানাট ৷ এই রূপে শিশুগণ করিছে রোদন । চতুর্থ দ্বারের কথা শুন বিবরণ ॥ চতুর্থ দ্বারের বিবরণ। রাধা সহ গোপীগণ, পূর্বদ্বারে আগমন, করিলেন অতি আনন্দেতে । রূপে পূর্ণ শশী যিনি, যেন গজেন্দ্র গামিনী, রাধা রূপে হেরি সকলেতে। নক্ষত্রের মধ্যে শশী, যেন শোভা স্থপ্রকাশী, রাধারূপে মোহ দ্বারিগণ এক দৃষ্টে সবে চায়, বলে রূপ কিবা হায়, হেন রূপ না দেখি কখন। সকলেতে ঐক্য হয়ে, দ্বারে পৌছিল যাইয়ে,