পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস খণ্ড । ২৩৩ যশোদার প্রতি রাম কৃষ্ণের বিনয় । যেই দ্বারে যশোমতী পড়িয়া ধরায় । দ্রুতগতি রাম কৃষ্ণু সেই দ্বারে যায় ॥ দেখে রাণী গড়াগড়ি যায় ভূমিতলে। যোড়কর করি তবে রাম কৃষ্ণ বলে । অপরাধ হইয়াছে ক্ষমগো জননী ॥ সন্তানের অপরাধ না লও তাপনি । এত বলি দুই জনে ধরিল চরণ। বিস্ময় হইল দেখি যত দ্বারিগণ ॥ সন্তোষ হইয়। রাণী উঠিয়া তখন । দুই ক্রোড়ে করিলেন দুইটী নন্দন ৷ যেই ছানা ননী এনেছিলেন মতনে । দিতে লাগিলেন রাণী দোহার বদনে ॥ ভকত বৎসল হরি ভকতের সার । যশোদার করিলেন সে ননী আহার ॥ বিস্ময় মানিয়া সবে বলিল বচন । ধন্য ধন্য যশোমতী তুমি গো এখন ৷ পূৰ্ব্ব জন্মে কত মাগো পুণ্য করেছিলে । তেই রাম নারায়ণে কোলেতে পাইলে ॥ একবার দেখাও মা তোমার নন্দন । যুগল রূপেতে যেন পাই দরশন। শুন মা যশোদা রাণী কত পুণ্য কৈলে । তেই লক্ষনী নারায়ণে গৃহেতে পাইলে ॥ এতবলি পুরবাসী শত শত জন । রাণীরে মিনতি করি বলিছে বচন ॥ ওরে বাপু কৃষ্ণধন বলিরে তোমায় । পুরবাসিগণ সবে দেখিবারে চায় ৷ যুগল রূপেতে সবে দেহ দরশন। সার্থক হইবে বাছা সবার জীবন ॥ জননীর আজ্ঞা কৃষ্ণ লঙ্ঘিতে না পারে। দ্বিভূজ মুরারি বেশ তখনি যে ধরে। অপুর্ব মোহন বেশ গলে বনমালা । শিখিপুচ্ছ চুড়া হয় অৰ্দ্ধ বামে হেল। অলকা ভারত শশী