পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস খণ্ড । २७१ রণ । নন্দকে পাইয়া বস্তু আনন্দিত মন । যথোচিত রূপেতে করিল সম্ভাষণ ॥ গোপগণ সহ লয়ে আয়াস ভিতর । ভক্ষ্য ভোজ্য দিয়া তোষে যত গোপচর ॥ বলে সখা কিবা ভাগ্য আমার আছিল । পুত্ৰ ভাবে ভগবান আপনি জন্মিল। কত পুঞ্জ পুঞ্জ পুণ্য ছিল দৈবকীর । রত্ন গর্ভ পুত্ৰ গৰ্বে ধরে যদুবীর । তোমার পুণ্যের কথা ন৷ পারি বলিতে । পুত্ৰ ভাবে নারায়ণ পালিলে গৃহেতে । ছরাচার দুষ্টকংস রাখে বদ্ধ করে । দৈবকীর সহিত মোরে রাখে কারাগারে । নন্দ বলে যেইমত করিল তাচাব । অচিরে হইল দুষ্ট সমূলে সংহার। মনে না করহ সখ সে সব বচন । যেমন করিল কৰ্ম্ম হইল তেমন ৷ এক্ষণে বিদায় দেহ যাই নিজলয় । এসেছি অনেক দিন ত্যজিয়া তালয় ॥ বহু বলে থাক সখা দিনকত আর । যাইবে আপন গৃহে ভাবনা কি তার । যশোদারে পাইয়া দৈবকী তানন্দিত । ক্রমে ক্রমে দোহাকার হয় মনপ্রীত ৷ তানদের লেশ নাহি রুক্মিণীর মনে। সদাই বসিয়া রহে বিরস বদনে ৷ বলে চক্রীর কিবা চক্র না বুঝি কারণ । রাধারে প্রণাম করি একি অলক্ষণ ॥ শ্ৰীকৃষ্ণের পত্নী রাধা তামার সে সত । প্রণাম করিমু তারে কি লজ্জার কথা ॥ সকলি কৃষ্ণের মায়া বুঝিনু এখন। আমারে করিলে ছোট একি কুলক্ষণ । বলিতে বলিতে ক্রোধ অধিক বাড়িল । অঙ্গ আভরণ যত খুলিয়া ফেলিল। মলিন বসন পরি ধূলাতে