পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস খণ্ড । ১৭ দেখি দৈবকীর আনন্দিত মন । বসুদেব কহিতে লাগিল ততক্ষণ ॥ শুনহ দৈবকী রাখ বচন আমার । পুত্র লযে যাই দেহ কংস দরবার ॥ সত্যবদি হইয়াছি কংসের সদন । পুত্ৰ হৈলে তব কাছে করিব অর্পণ ॥ এপুত্র দেখিলে দয়া অবশ্য হইবে । অনুমান করি পুত্রে প্রাণে না বধিবে ॥ এতবলি পুত্র লয়ে চলিল তখন। উপনীত হৈল আসি কংসের সদন ॥ বহুদেবে দেখি কংস সমাদর করে । বসাইল লয়ে সিংহাসনের উপরে ॥ পুত্ৰ দেখি নরপতি জিজ্ঞাসে কারণ। সদ্যজাত পুত্ৰে লৈয়া আইলে কিকারণ ॥ বস্থ কহে মহারাজ প্রতিশ্রুত আছি। সদ্যজাত পুত্রে তেই লইযা এসেছি। যতগুলি দৈবকীর হইবে তনয় । তোমার নিকটে এনে দিব মহাশয় ৷ হাসি কংস নরপতি কহেন বচন । এপুত্ৰেতে কিবা মম হবে প্রয়োজন ॥ সচ্ছন্দে গৃহেতে নিয়া রাখহ ইহায় । অষ্টম গৰ্ত্তের পুত্র দিবেহে আমায় ৷ এতবলি কংস বাজা ফিরাইয়া দিল । আনন্দেতে পুত্র লরে গৃহেতে অনিল ॥ সকল কহিল কথা দৈবকী সদন । নামারিল এই স্থতে রাখিল জীবন ৷ তুমি লয়ে এ পূত্রেরে করহ পালন । এতবলি দৈবকীরে করেন অপৰ্ণ । এই রূপ কিছু দিন গত হয়ে যার। অপরেতে ঘা হইল শুন নররায় ৷ শ্ৰীকৃষ্ণ চরণ পদ্ম করিয়া ভাবনা । মহেশচন্দ্র দাসে করে এগ্রস্থ রচনা ৷