পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পভাস খণ্ড । bハ○ মম পরে রাখিবে ভকতি । ত্যজ গরুড়ের ভয় নাগেন্দ্র যুবতী ॥ দ্রুত রম্যণক দ্বীপে করহ পয়ান । কালিন্দীর নার হৈতে করাহ উত্থান ॥ বরাঙ্গন। বর লহ বাঞ্ছ। যা তোমার । তোমায় আদেয় কিছু নাহিক আমার । শ্রবণে কৃষ্ণের বাণী প্রসন্ন বদনে । নাগিনী করেন ভক্তি কৃষ্ণের চরণে ॥ শুন ওহে যদুনাথ দেহ এই বর যেন ভক্তি রহে পাদপদ্মে নিরন্তর ॥ তোমার পদ পঙ্কজে আমার এ মন । সদা রহে মধুমত্ত ভ্রমর যেমন ॥ সকান্ত সৌভাগ্য জ্ঞাতিগণের সংহতি । এই বর দেহ মোরে কমলারপতি ॥ এই নিবেদন করি যতেক নাগিনী । ঘোড়হাতে দাণ্ডাইল করি যোড় পানি ॥ নগরাজে স্থবিরাজে করুন সংসার । আমারে করহ নিজ কিঙ্করী তোমার ॥ নাগিনীর বাক্য শুনি মুনিন্দ্র ঈশ্বর । হবে তব বাঞ্ছাপূর্ণ না ভাব অন্তর ॥ এমন সময়ে এক স্থবৰ্ণ বিমান । মুনিন্দ্র সুদীপ্ত মণি আইলা সে স্থান ॥ পার্শদ প্রবর যুক্ত বস্ত্র মাল্যা সাজে । শত চক্র বায়ু বেগে ঘোটক বিরাজে ॥ বিমান হইতে নামি শু্যামল সুন্দর। চারিদিগ হইতে আইল শু্যামের কিঙ্কর ॥ আসিয়া প্রণাম করে শ্ৰীকৃষ্ণ চরণে নাগিনীরে লয়ে গেল গোলক ভবনে ॥ শ্ৰীহরি মায়াতে করি নাগিনী নিৰ্ম্মাণ । স্বরসা স্থবেসা সমাকালী নামা স্থান । বিনা বিষ্ণু মায়াতে না বুঝে কিছু কালী। সপশির হইতে নামিলা বনমালী ॥ কালীর শিরেতে কর করেন-স্পর্শন । চেতন পাইয়া করে