পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২ প্রভাস খণ্ড । করিলে প্রণাম ফলে ফুলে নত্রমান । সাধু সাধু বলি কৃষ্ণে করেন বাথান। কৃষ্ণ দরশন চিহ্ন দেখিল বিদিতে । কলিকা ভাঙ্গিয়া কৃষ্ণ গেছে সেই পথে ॥ অভাগিনী গোপনারী করয়ে জিজ্ঞাসা । স্বরূপে কহিবে তুমি আমার এ ভাষা ৷ এইরূপে তরুলতা চাহিয়া বেড়ায় । সকল অরণ্যময় খুজিয়া না পায় ॥ ধরিতে না পারে চিত্ত যত গোপীগণ । উপায় করিয়া সবে রাখয়ে জীবন ৷ এইরূপে গোপাল চরিত্র সবে করি। বনে বনে ভ্ৰনিতেছে যতেক সুন্দরী ॥ কেহ বলে হের দেখ কোন স্থভাষিণী । কৃষ্ণ লয়ে দূরবনে ভ্ৰমে একাকিনী ॥ এই দেখ আমা সবে করি অনাদর। কানুর মুখের পান পিয়ে নিরান্তর ॥ শুদ্ধভাবে কৃষ্ণ আরাধিল সেই রামা । সফল রাধিক নাম ধরে পূর্ণ বামা ॥ আত্মারাম অখণ্ডিত নিজ সুখ ধরে । সে হরি মোহিল গোপী কেমন প্রকারে । এত ব্রজ রমণী ত্যজিয়া দূরবনে । এক সখী লয়ে কৃষ্ণ আইল কেমনে ॥ হের দেখ বসিয়া আছিল এইখানে। হেথা থাকি প্রেমালাপ কৈল দুইজনে ॥ হের দেখ কৃষ্ণপদ অতি স্থকোমল । রমণী সুহিত ভ্ৰমে লক্ষণে সকল ৷ এই স্থানে বসিয়া আছিল দুই জন। এই খানে থাকি কৈল কবরী বন্ধন ৷ এইরূপ গোপী করে কৃষ্ণুে অন্বেষণ । এখানেতে শ্রীরাধার শুন বিবরণ ॥ মনে মনে তাহার নইল অহঙ্কার। আমার শ্ৰীকৃষ্ণ বটে জানিলাম সার ॥ মনে মনে গৌরব করিয়া কহে বাণী । চলিতে