পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস খণ্ড । ১২৭ সুদাম আর সুবল বানাই ॥ বনমাঝে বনমালী বাজান বাশারী । শ্রবণে বঁাশীর গান কহেন কিশোরী ॥ ঐ বনে বাজে বঁাশী চল সখি যাই। শুনিব বঁাশীর গান দেখিব কানাই। সেরূপ নয়নে সখি লাগিয়াছে যার। ডুবেছে সে কাল নীরে ভুলেছে সাতার ॥ অতি অপরূপ রূপ নয়নে না ধরে । সরল পাচনী করে রমুলী অধরে। কুলে মজাইল কুল বেড়াগুঞ্জ ফুলে। হয়েছি বঁাশীর দাসী কি কাৰ্য্য এ কুলে ॥ চল চল সখি মন হইল চঞ্চল। গিয়াছে না যাবে কুল বিলম্বে কি ফল ॥ না পারি সজনী আর রহিতে ভবনে উড় উড় করে প্রাণ মন ধায় বনে ॥ শ্রীরাধার কথা শুনি বৃন্দাদৃতী বলে। দেখিতে মুরলীধারী যাবে। কোন ছলে ॥ শ্রবণে কিশোরী কহে ওগো সহচরী। আমরা যাইব গোষ্ঠে লইয়া বাছরী ॥ সাজ সজ সখীগণে যাইব কাননে । গোচারণে গিয়া দেখি সে বংশী বদনে ॥ সাজিল গোপের বালা করেতে পাচনি । বাছরি লইয়া যান যত নিতস্বিনী ॥ ললিতা বিশাখ বঙ্গদেবী স্থলোচনা | শশীমুখী সকুনতলা সরোজ বদন ॥ কমল কমল কালী কাদম্বিনী উমা | শু্যামা বামা নিরূপমা রমা মনোরম ৷ মধ্যভাগে চন্দ্রাবলী শ্ৰীমতী রাধিক । তাহার পশ্চাতে বৃন্দে দূতী বয়ধিকা ॥ দ্রুতগতি চলিতে নূপুর বাজে পায়। কেহ বলে দাড়া সখি কেহ বলে অায় ॥ চলিতে শ্ৰীমতী যেন তড়িৎ প্রকাশে । বিনোদ সুবর্ণ ঝাপা দোলে