পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ প্রভাস খণ্ড । নারী ॥ পাইয়া কেশবে সবে হয়ে পুলকিত। প্রেমানন্দে সকলেতে হইল মোহিত ॥ সাঙ্গ মহোৎসব সবে করিল গমন । ধেনু লয়ে জান কৃষ্ণ সঙ্গে গোপগণ ॥ এইত কহিনু দোল মঙ্গল কথন । অক্ষয়কুমার রায় ভণে ভাবি নারায়ণ ॥ কলঙ্ক ভঞ্জন | স্ত্রীর ধাগোপিনীর ন্দ্যৈঃ একত্রিত পুরংঘষে । জুটলা বলে কেনেন ক্রোধান্বিতং ভৎসিয়: । রে মৃংশ সকলঙ্কিণী শূণসা বচনং মমঃ ॥ পরপুরুষঃ সংসৰ্গং সে হপি পাপি মহীতলে ॥ স্ত্রীরাধারে সঙ্গে করি, যতেক ব্রজ স্থনদরী, পরম্পর যায় নিজ ঘরে । কুটীলে হেরি রাধারে, কহে অতি ক্রোধভরে, ধিক কালা কলঙ্কিণী তোরে ॥ যতেক গোপিনী মেলি, সারা নিশি কৈলি কেলী, কালারে লইয়। রজনীতে । মানের ন কৈলি ভয়, কুল বধু তোরে কয়, ধ্বজ দিলি দাদার কুলেতে ॥ আয়ান দাদা এলে পরে, এখনি বলিব তারে, এত বলি কুটীলে দেয় গালি । জটিলে নিবারণ করে, রাধারে কহিছে পরে, কোথা ছিলি রজনীতে কালি ॥ ওলো রাধে বলি আমি, সত্য করি কহ তুমি, কালার সঙ্গে রাত কাটায়ে এলি। এত বলি ক্রোধে পরে, মায়ে বিয়ে ঝকড়া করে, বলে এই বারে তুই গেলি ৷ বাক্য নাহি কহে রাধে, আছেন অতি বিষাদে,