পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস খণ্ড । ১৩৭ কপট বৈদ্যের আগমন ও ধাতু নিরীক্ষণ । ছদ্মবেসে বৈদ্যর জং ব্রজপুৰীং নির ক্ষযঃ । তং দৃষ্ট নন্দগোপেন্দ্র বৈদ্যস্তানে নিবেদিত । অস্মিন বয়সি পুত্রোমে শ্ৰীকৃষ্ণ যদি জীবতি ॥ স ভাগ্য জননী বৎস ত্বয়াকাপি বিভূষিত । অথব। যাদৃশস্নেহে সম ষণমুগ্ধপুস্তব ॥ হরেরপত্য সুব্যক্ত ভবান বংশ ভবিষ্যতি | হেনকালে নরহরি, বৈদ্যরাজ রূপ ধরি, ব্ৰজমাঝে দেন দরশন। রূপ অতি চমৎকার, ভালে দীর্ঘ ফোটা তার, পরিধান শুক্ল যে বসন ॥ হস্তেতে ঔষধ লয়ে, জান রাজপথ বয়ে, নন্দরাজ হেরিল নয়নে । রূপ দেখি অপরূপ, তুলিল নয়নকৃপ, একদৃষ্টে করে নিরীক্ষণে। মনে মনে ভাবে নন্দ, হেরি প্রায় শ্রীগোবিন্দ, যেন নীলমণির মতন ! এত ভাব হৃদয়েতে,হর্ষযুক্ত হয়ে চিতে, বৈদ্যরাজে কহেন বচন ॥ কহ বাপু পরিচয়, কোথায় নিবাস হয়, কিবা নাম যাবে কোথ৷ কারে । বৈদ্য বলে মহাশয়, কৃষ্ণ বৈদ্য নাম হয়, বাস ভক্তের হৃদয়মাবারে । আমা সম বৈদ্যরাজ, নাহি ত্রিভুবন মাঝ, কঠিন পীড়াকে স্থস্থ করি । শুনি নন্দ কহে বাণী, এস লয়ে যাই আমি, মম পুত্র কৃষ্ণ নাম তারি। ওরে বৈদ্য বাছাধন, দেখিবারে.কৃষ্ণ ধন, মম গৃহে কর আগুসর। হয়েছে কঠিন পীড়া, ব্যাধি হেরি স্বষ্টি ছাড়া, আইস বাছ কোলেতে আমার । তুমি মম পুত্রসম, আজি হলে বাছাধন,