পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○ミ প্রভাস খণ্ড । কহিছেন জগন্নাথ, রাখ বৃন্দে জনমের মত। নতুব ছে বিনে রাই, একেবারে ভেষে যাই, তুমি আছ মম অনুগত ৷ বৃন্দে বলে বংশীধারি, কেমনে মিলাতে পারি, তব জন্যে সারানিশি যেগে । ঐ এলে বংশীধারি, এই অনুভব কবি, প্রভাতেতে শয়ন করেন রেগে ৷ এখন কেমনে যাই, বল দেখি হে কানাই, তুমিত বিবাদ বাড়াইলে । তব লাগি ওহে হরি, আশাতে ছিলেন প্যারী, রজনীতে তুমি না আইলে ॥ এক্ষণেতে তবোপবি, মান করে সে কিশোরী, শয়নে আছেন অভিমানে । এমন ভাঙ্গিবীর নয়,শুন হরি মহাশয়, যাই দেখি প্যার বিদ্যমানে। এত বলি বৃন্দেদূতী, রাখিয়। দ্বারে শ্রীপতি, শ্ৰীমতীর কাছে উপনীত । কৃষ্ণ আগমন কথা, প্যারীরে কহিল তথা, শুনি রাধা হন কোপান্বিত ॥ বলে শুন ওগো বৃন্দে, পুনরায় কও গোবিন্দে, সে নিষ্ঠ রে না দেখিব আর । কাল জল খাইব না, কাল রূপ দেখিব না, এই শুন প্রতিজ্ঞা আমার ॥ এত বলি নিরবেতে, রহে রাধা দুঃখ চিতে, বৃন্দে আসি কহিল গোবিন্দে। বলে ওহে শুন বাণী, বলি তোমায় চক্রপাণি, রাধার কথা তব পদারবৃন্দে হয়ে রাধা ক্রোধান্বিতা, না রাখিল মম কথা, আপনি হে ঘাহ একবার । সাধ ধরিয়া চরণ, ওহে হরি নারায়ণ, যদি মান ভাঙ্গে ত্রীরাধার ॥ বৃন্দের শুনিয় বাণী, চলিলেন চক্রপাণি, কুঞ্জের ভিতরে উপনীত। যথায় শয়ন করে, আছে প্যারী দুখান্তরে, হরি যায়ে দাগুন ত্বরিত।