যোদ্ধা নেই যার গায়ে অন্ততঃ একশ শর বসে নি। বড় বড় রথগুলি শর-প্রহারে স্তম্ভিত হ’য়ে আছে। শর দ্বারা সমস্ত পথ আচ্ছন্ন হ’য়ে গেছে। প্রচণ্ড ধনু শরের নদী বহাচ্ছে।[১]
ভগবান। (স্বগত) অর্জ্জুনের অক্ষয় তূণীত্বই ইহার কারণ। এই অক্ষয়তূণীত্বের জন্যই খাণ্ডবদাহন কালে যতক্ষণ বাসব বৃষ্টিধারা বর্ষণ করেছিলেন অর্জ্জুনও ততক্ষণ শরবর্ষণ করেছিলেন।
রাজা। শত্রুর সংবাদ কি?
ভট। আমি স্বয়ং শত্রুর কোন সংবাদ জানি না, তবে দূতের মুখে শুনেছি দ্রোণ ধনুষ্টঙ্কার শুনেই বুঝেছেন
- ↑
কৃতা নীলা নাগাঃ শরশতনিপাতেন কপিলা
* * * *
শরৈশ্ছন্না মার্গাঃ শ্রবতি ধনুরুগ্রাং শরনদীম্।
প্রথম পংক্তিতে শরশব্দের প্রয়োগের সৌন্দর্য্য দেখুন—নলবনে শত শত নল ভেঙ্গে নীল নাগের উপর পড়লে যেমন হাতীকে কপিল বর্ণ দেখায় তেমনি।
চতুর্থ পংক্তিতে আবার দেখুন—খরস্রোতা নদীর বেগে নলরাশি তাড়িত হ’লে যেমন নদীবক্ষ নলে আচ্ছন্ন হ’য়ে যায় তেমনি