পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ వలి বৈষ্ণবের ছেলের কোথাও মুষ্টি ভিক্ষার অভাব হবে না মাষ্টারমশাই, এইতেই আমার বাকি দিনগুলো স্বচ্ছদে কেটে যাবে। তা ছাড়; সম্পত্তি আমার চরণের, আমি তারই সঙ্গী-সাথীদের জন্য দিয়ে গেলাম । দুর্গাদাস ব্রাহ্মণ এবং প্রবীণ হইলেও শ্রাদ্ধের দিন উপস্থিত থাকিয়া সমস্ত তত্ত্বাবধান করিয়াছিলেন, তাই তিনি কুসুমের যথার্থ পরিচয় জানিতে পারিয়ছিলেন। এখন তাহাই স্মরণ করিয়া বলিলেন, সেটা ভাল হবে না বাবা, তোমার কথা স্বতন্ত্র, কিন্তু বোমার পক্ষে সেটা বড় লজ্জার কথা। এমন হতেই পারে না বৃন্দাবন ! বৃন্দাবন মুখ নিচু করিয়া কহিল, তিনি তার ভায়ের কাছেই যাবেন। দুর্গাদাস বৃন্দাবনকে ছেলের মত স্নেহ করিতেন, তাহার বিপদে এবং সৰ্ব্বোপরি এই গৃহত্যাগের সঙ্কল্পে যৎপরোনাস্তি ক্ষুব্ধ হইয়া নিবৃত্ত করিবার শেষ চেষ্টা করিয়া বললেন, বৃন্দাবন, জন্মভূমি ত্যাগ করবার আশুকতা fক ? এখানে বাল করেও ত পুর্বের মত সমস্ত হতে পারে। বৃন্দাবনের চোখ ছল ছল করিয়া উঠিল, বলিল, ভিক্ষা ছাড়া আমার আর উপায় নেই, কিন্তু সে আমি এখানে পারব না । * তা ছাড়া, এ বাড়িতে যে দিকে চোখ পড়েছে, সেই দিকেই তার ছোট হাত দুখানির fচহ্ন দেখতে পাচি । আমাকে ক্ষমা করুন মঃারমশাই, আমি মানুষ, মানুকের মাথা এ গুরুভারে গুড়ে হয়ে যাবে। \fเศส বিমর্য মুখে মন হইয় রছিলেন। " • ভোক্তার চরণের শেষ চকিৎসা করিয়াইমু, সেদিনের মৰ্ম্মান্তিক ঘটনা তাহকে আছন্ন করিয়া ফেলিয়াছিল । ইহার শেষ দেখিবার কৌতুহল ও বৃন্দাবনের প্রতি অদম্য আকর্ষণ তহিকে সেই দিন সকালে বিনা আহানে আবার তিনি নি:শব্দে সমস্ত শুনিতেছিলেন ; বৃণ বনের এতটা বৈরাগ্যের হেতু