পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ - br〉 মৃতদেহ সৎকার করিয়া ঘরে ফিরিয়া, চরণকে কাছে ডাকিতে, তাহাকে 'পৰ্শ করিতে তাহার সর্বাঙ্গ কঁপিয়া উঠে। কেবলই মনে হয়, অজ্ঞাতসারে কোন সংক্রামক বীজ বুঝি একমাত্র বংশধরের দেহে সে পরিব্যাপ্ত করিয়া দিতেছে। কি করিয়া যে,তাহাকে বাহিরের সর্বপ্রকার সংস্রব হইতে, রোগ হইতে, মরণ হইতে আড়াল করিয়া রাখিবে, ইহাই তাহার একমাত্র চিন্তা। পাঠশালা আপনা-আপনি বন্ধ হইয়া গিয়াছে, চরণের মুখের দিকে চাহিয়া, ইহাও তাঁহাকে ক্লিষ্ট করে নাই। কিছুদিন হইতে তাহার খাওয়া, পর, শোওয়া সমস্তই নিজের হাতে লইয়াছিল, এ বিষয়ে মাকেও যেন সে সৰ্ব্বাস্ত:করণে বিশ্বাস করিতে পারিতেছিল না। এমনি সময়ে একদিন মায়ের মুখে সংবাদ পাইল, তাহদের প্রতিবেশী তারিণী মুখুয্যের ছোটছেলে রোগে আক্রান্ত হইয়াছে। খবর শুনিয়া তাহার মুখ কালিবর্ণ হইয়া গেল ! মা তাহ লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, আর না বাবা ! এইবার চরণকে নিয়ে তুই বাইরে যা । বৃন্দাবন ছল ছল চক্ষে বলিল, মা ! তুমিও চল । মা আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিলেন, আমার ঠাকুর ঘর ফেলে রেখে ! পুরুতঠাকুরের ওপর ভার দিয়ে চল। • , ম। অধিকতর বিস্মিত হইয়া বলিলেন, আমার ঠাকুরের ভার অপরে নেবে, আর আমি পালিয়ে যাব ? বৃন্দাবন লজ্জিত হইয়া বলিল, তা নয় মা, তোমার ভার তোমারই রইল, শুধু ছুদিন পরে এসে তুলে নিয়ো— মা দৃঢ়ভাবে মাথা নাড়িয়া বলিলেন, তা হয় না, বৃদাবন। আমার শাশুড়ীঠাকুরুণ এ ভার আমাকে দিয়ে গেছেন, আমিও যদি কখন তেমন করে দিতে পারি, তবেই দেব, না হলে আমারই মাথায় থাকৃ। কিন্তু ( ! & وينا