পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় । * Sè হরানন্দ তখন বলিলেন “মরণের বাড়া হয়েছে, সে ব্ৰাহ্ম সমাজে सांझ” । শিবনাথের জীবনে আর এক ঘোর পরীক্ষা উপস্থিত হইল । শিবনাথ মনে মনে প্ৰতিজ্ঞা করিলেন যে বিশ্বাসানুযায়ী জীবন যাপন করিবেন। সংকল্প এক মুহূৰ্ত্তে করা যায়। কিন্তু তাহা পালন করা অত্যন্ত কঠিন। জীবনের কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হইলেন। গ্ৰীষ্মের এবং পূজার ছুটীতে বাড়ীতে গেলেই শিবনাথকে গৃহপ্রতিষ্ঠিত দেবতা সকলের পূজা করিতে হইত, এবার মনে মনে স্থির করিলেন “আর কপট পূজা করিব না”। ছুটীতে বাড়ীতে গিয়া জননীকে নিজ সংকল্পের কথা বলিলেন। গোলোকমণি শুনিয়া ভয়ে অৰ্দ্ধমৃত হইলেন-কত বুঝাইলেন কত কঁাদিলেন শিবনাথ ক্ৰমাগত হাত জোড় করিয়া বলেন “মা ক্ষমা করে, আর বোলো DD DBBD K DB S BDB DB BDSS BB DBDB g DBDDD বাৰ্ত্তা গেল। আগ্নেয় গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ন্যায় ভীষণ ক্রোধাগ্নি জ্বলিয়া উঠিল, জোর করিয়া পূজা-করাইবার জন্য লাঠি হাতে ছুটিয়া আসিলেন। শিবনাথ ধীর ভাবে বলিলেন “কোন বৃথা মারিবেন, যতই মারুন আমি ধীরভাবে সহ করিব কিন্তু পূজা আর করিব না। আমার দেহ হইতে এক একখানা হাড় খুলিয়া লাইলেও, আর আমায় ওখানে লইয়া যাইতে পরিবেন না । হরানন্দ স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইয়া আধঘণ্টা কুপিত ফণীর ন্যায় ফুলিতে লাগিলেন। সেই দিন হইতে শিবনাথের মুক্তিপূজা বন্ধ হইল। তবু, হরানন্দ আজ্ঞা করিলেন “গ্রামের ব্ৰাহ্ম ছেলেদের সঙ্গে মিশবে না ।” শিবনাথ উপাসনার সময় ভিন্ন আর তঁহাদের নিকট যাইতেন না । শিবনাথ বলিতেন “তখন কেহ উপাসনা