পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज९भ अथJांयू । S © ቅ লক্ষণ নিশ্চয় বলিতেই হইবে। মানব জন্মমুহূৰ্ত্ত হইতে নানা প্ৰকার ভাবপ্রবণতা ও শক্তি লইয়া জন্মগ্রহণ করে। কেহবা কবিত্বশক্তি, কেহবা তীক্ষু মেধা, কেহবা প্ৰেমপ্রবণতা, তেমনি কেহ বা আধ্যাত্মিকতা লইয়া জন্মগ্রহণ করে। শিবনাথও অপরাপর গুণের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আধ্যাত্মিকতা লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। র্তাহার প্রকৃতির এইটী বিশেষত্ব-তিনি কবি ছিলেন, মেধাবী ছিলেন, প্রেমিকও ছিলেন, কিন্তু সৰ্বোপরি ছিলেন আত্মিক । একথাটী না বুঝিলে তঁর জীবনের কিছুই বোঝা যাইবে না। প্ৰাণময় শিবনাথ তাই দ্বিতীযবার বিবাহ করিয়া শত বৃশ্চিকের জ্বালায় জর্জরিত হইয়া অনন্যেপায় হইযা ঈশ্বরের চরণে আত্মসমৰ্পণ করিলেন । তৎপরে ক্রমে কোন সূত্র ধরিয়া কোথায় আসিয়া পড়িলেন তাহ পাঠকবর্গ দেখিবেন । শিবনাথ প্রার্থনাকে জীবনের সম্বল করিয়া “যখন লাইলেন, তখনও তাহার ব্রাহ্মসমাজের সহিত কিছুমাত্ৰ সংশ্রব হয় নাই। ভবানীপুরে মহেশ • চৌধুরী মহাশয়ের বাড়ীতে যখন থাকিতেন, তখন সেখানকার আদি সমাজের মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ও পাকড়াশি মহাশয় সর্বদা উপদেশ দিতেন। শিবনাথ সেই সকল উপদেশ শুনিয়া পরম উপকৃত হইতেন। ক্রমে বিজয়কৃষ্ণ ও অঘোরনাথ প্রভৃতি ব্ৰাহ্মবন্ধুর প্রভাবে দিন দিন ব্ৰাহ্মসমাজের দিকে আকৃষ্ট হইতে লাগিলেন। বন্ধু উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের প্রভাবও এই সময় যথেষ্ট কাৰ্য্যকারী হইয়াছিল, কিন্তু অবশেষে শিবনাথ নিজেই ধরা পড়িলেন। তিনি যে সময়ে ব্ৰাহ্মসমাজে আসিলেন তখন কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয় সকলে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহিত বিচ্ছিন্ন হইয়া আসিয়াছেন। শিবনাথ আত্মচরিতে এ সময়কার কথা লিখিয়াছেন ঃ