পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ» ob” শিবনাথ-জীবনী । “যতদূর মনে হয় তাহাতে দেখিতে পাই, তখন বি বা পরায়ণ উন্নতিশীল দল অপেক্ষা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও আদি সমাজের দিকেই আমার অধিক আকর্ষণ ছিল। আমার যতদূর স্মরণ হয়। আমার জ্ঞাতি দাদা হেমচন্দ্ৰ বিদ্যারত্নী যিনি আদি সমাজের ব্ৰাহ্ম ও তত্ত্ববোধিনীর সম্পাদক ছিলেন এবং আমার নিকট সর্বদা মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথের প্রশংসা ও উন্নতিশীল ব্ৰাহ্ম দলের নিন্দা করিতেন, তিনিই এই আকর্ষণের প্রধান কারণ ছিলেন। আমার মাতুল স্বৰ্গীয় দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণও উন্নতিশীল দলের পক্ষে ছিলেন না। তাহাও একটা কারণ হইতে পারে। সেই কারণে উন্নতিশীল দলের সঙ্গে আমি অধিক ংশ্ৰব রাখিতাম না ।” দেখা যাইতেছে শিবনাথ ব্ৰাহ্মদিগের বিশেষ সংশ্রবে থাকিতেন। না। চারিদিকে রাষ্ট্র হইয়া গেল, উন্নতিশীল ব্রাহ্মগণ নূতন মন্দির প্রতিষ্ঠা করিবেন, সেই উপলক্ষ্যে নগর-কীৰ্ত্তন হইবে। শিবনাথ শাক্ত বংশের ছেলে, সংকীৰ্ত্তনের উপর চিরদিন বীতরাগ। তঁর মামাও সোমপ্রকাশে নগর সংকীৰ্ত্তনের বিরুদ্ধে লিখিতে লাগিলেন-কীৰ্ত্তন নেড়া নোড়ীর কাণ্ড এই তাহদের ধারণা । শিবনাথও নগর সংকীৰ্ত্তনের নামে নাসিক ফুঞ্চিত করিলেন । ভাবিলেন “এ আবার কি” । ১৮৬৮ সালের ১১ই মাঘের উৎসবের দিন শিবনাথ আদি ব্ৰাহ্মসমাজে গিয়াছিলেন। উপাসনার পরে সিড়ি দিয়া নামিতেছেন, এমন সময় কয়েক জন বাবু বলিতে বলিতে আসিতেছেন । “মহাশয় দেখলেন না, কেশব শহর মাতিয়ে তুলেছেন”। নগর সংকীৰ্ত্তনের ব্যাপারে যে হাস্যাস্পদ না হইয়া কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন, ইহা শিবনাথের নিকট আশ্চৰ্য্য বোধ