পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S&8 শিবনাথ-জীবনী । করিতে হইত, কিন্তু ক্ষুধার তাড়নায় অস্থির, আহাৰ্য্য কিছুই নাই --দ্বিপ্রহরে মোট চালের ভাত ও সামান্য তরকারি, রাত্ৰেও তাহাঁই-তাহাতে ক্ষুধা নিবারণ হয় না। আশ্রমে জননী কি যে ক্লেশ পাইয়াছিলেন তাহা স্মরণ করিলে কষ্ট হয়। আশ্রমবাসী সকলেরই কষ্ট ছিল, তবে পুরুষগণ কোন ক্লেশই ক্লেশ বলিয়া গ্ৰাহা করিতেন না । উদবেব জালা নিবারণ করিবার জন্য গোলদীঘির জল ঘোলা করিয়া প্রচারকগণ কেহ কেহ পান করিষাছেন, তথাপি মুখ মান করেন নাই বা কষ্টের কথা বলেন নাই , কিন্তু আশ্রমবাসী নারীগণের সে অবস্থা ছিল না । তঁরা ধৰ্ম্মের জন্য ব্ৰাহ্মসমাজে আসেন নাই, পতির অনুবৰ্ত্তিনী হইয়াছিলেন এই মাত্ৰ ! স্বেচ্ছায় তা বা দারিদ্র্য ব্যবণ করি যা লন নাই, সুতরাং তঁহাদের অভাববোধ অতিশয় তীব্র ছিল । অপবের কথা জানি না-জননী প্ৰসন্নময়ী নিদাৰুণ ক্লেশ বোধ করিতেন । নিজের শারীরিক কষ্ট-শিশুসন্তানগণকে ভাল করিয়া পাওয়াইতে পারিতেন না, দুধের অভাবে বাটী বাটী সুজি জলে সিদ্ধ করিয়া চিনি মিশাইযা সন্তানদিগকে খাওয়াহঁতেন । তখন শিবনাথের বৃত্তিমাত্র ভরসা । সেই বৃত্তি হইতে আবার আশ্রমবাসী অপরাপর বন্ধুদিগকে সাহায্য কবিতে হইত। নিজের সন্তানেরা যখন দুধ পাইত না তখন শিবনাথ অপর এক বন্ধুর দুগ্ধপোষ্য শিশুর দুধের বরাদ্দ করিয়া দিয়াছিলেন। ভারতাশ্রমে বাসকালে ১৮৭১ সালের জুন মাসে শিবনাথের একমাত্র পুত্র প্রিয়নাথ জন্মগ্রহণ করে। আশ্রমেই তাহার অন্নপ্রাশন হয়। এই বলিলেই সেই সময়কার দারিদ্রের্য কিঞ্চিৎ আভাষ পাওয়া যাইবে যে, প্ৰিয়নাথের অন্নপ্রাশনে চারিটি মাত্র টাকা ব্যয় হইয়াছিল। প্ৰসন্নময়ী