পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ শিবনাথ-জীবনী । সংস্কৃতের চর্চা লইয়াই থাকিতেন। ইহঁহারা কদাচ রাজ সেবা করিতেন । সুতরাং চির দরিদ্র হইয়াও ইহারা আত্মসম্মানে ' পূর্ণ হইয়া থাকিতেন। শ্ৰীকৃষ্ণ উদগাত যশোহর হইতে আসিয়াছিলেন বটে, কিন্তু তিনি পূর্ব বঙ্গের লোক নহেন। দক্ষিণাত্য বৈদিক নামটীতে র্তাহার দক্ষিণ দেশ হইতে আগমনের ইতিহাস নিহিত আছে। কিন্তু এ দক্ষিণ দেশ উৎকল কি মান্দ্ৰাজ তাহা ঠিক বলা যায় না । বেদগান করাই একসময় ব্ৰাহ্মণের প্রধান কৰ্ম্ম ছিল,-উদগাতা অর্থাৎ যিনি বেদগান করেন। অতএব “উদগাত” উপাধিধারী বৈদিক ব্ৰাহ্মণকে শ্ৰেষ্ট ব্ৰাহ্মণ বলিতেই হইবে। বৈদিক ঋত্বিকগণ-হোতা, গোতা, অৰ্ব্বষু ও উদগাত এই চারি শ্রেণীতে বিভক্ত। দাক্ষিণাত্যে তৈলঙ্গ ও দ্রাবিড় দেশে এখনও অনেক সামবেদী বৈদিক ব্ৰাহ্মণ দেখিতে পাওয়া যায়। শ্ৰীকৃষ্ণ উদগীতাও সামবেদী বৈদিক ব্ৰাহ্মণ ছিলেন। সে দেশে এখনও বৈদিক প্ৰণালীতে হোমাদির ব্যবস্থা আছে, সে দেশে আজিও বৈদিক ব্ৰাহ্মণের অপ্রতুল নাই। শ্ৰীকৃষ্ণ উদগাত এই শ্রেণীর ব্রাহ্মণ ছিলেন। কিনা জানিনা। তবে মজিলপুরে শ্ৰীকৃষ্ণ উদগাতার বংশাবলীর মধ্যে এইরূপ একটা প্ৰবাদ আছে যে র্তাহাদিগের - পূৰ্বপুরুষ কেহ উড়িষ্যার যাজপুর হইতে বঙ্গদেশে আসিয়াছিলেন । , বাৎস্য গোত্রীয় সামবেদী বৈদিক ব্ৰাহ্মণগণ মজিলপুর গ্রাম ছাইয়া ফেলিয়াছেন। মজিলপুরের ব্রাহ্মণগণ শাস্ত্রচর্চা লইয়াই থাকিতেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভৃংগে এবং উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভেও এক মজিলপুর গ্রামে ১০/১২ খানি টােল, চতুষ্পাঠ ছিল। এই গ্রামের उांक्रमंशं"| সংস্কৃত চৰ্চার জন্য বিশেষ প্রসিদ্ধ ছিলেন। মজিলপুরের ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদিগের সংস্কৃত চৰ্চার খ্যাতি বহুদূৱ ।