পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8W) दिनांथ-डीवनी । এ সত্য মুদ্রিত হইল যে, “ধৰ্ম্ম এক, রূপ ভিন্ন ভিন্ন মাত্ৰ”-কারণ ধৰ্ম্মের উদারতা ও বিশ্বজনীনতা রামকৃষ্ণ কথায় কথায় ব্যক্তি করিতেন। একদিন শিবনাথের খ্ৰীষ্টান বন্ধুও তঁর সঙ্গে পরমহংস দেবকে দেখিতে গেলেন। তঁাকে দেখিয়া মাটীতে মাথা ঠেকাইয়া পরমহংসদেব বলিলেন, “ষীশুর চরণে আমার শত শত প্ৰণাম।” কেবল তাই নয়- রামকৃষ্ণ বলিলেন, “ভগবানের অবতার অসংখ্য, তার মধ্যে যীশু প্ৰভৃতি মহাজনাদিগের ভিতর ঐশী শক্তির প্রকাশ দেখা যায় ; সুতরাং তঁহাদিগকে ভগবানের অবতার বলিতে দোষ নাই ।” বাস্তবিক তখন রামকৃষ্ণ দেবের সহিত শিবনাথের অন্তরের যে নিগুঢ় টান দেখা গিয়াছিল, তার প্রভাব শিবনাথের জীবনে চিরস্থায়ী হইয়াছিল, ধৰ্ম্মের সার্বভৌমিকতা তিনি বিশেষভাবে রামকৃষ্ণের নিকট হইতেই লাভ করিয়াছিলেন । ভবানীপুরে বাসকালে দুৰ্গামোহন দাস মহাশয়ের পরিবারেব সহিত, বিশেষতঃ তার সাধবী পত্নী ব্ৰহ্মময়ীর সহিত শিবনাথের পরিবারের অতিশয় ঘনিষ্ঠতা জন্মে। ব্ৰহ্মময়ী মাঝে সাহিত মাঝে শিবনাথের বাড়ী আসিতেন। একদিন ‘আসিয়া দেখেন প্ৰসন্নময়ী জলের জালায় মুখ দেখিয়া চুল বাধিতেছেন। ব্ৰহ্মময়ী বলিলেন, “এ আবার কি চুল বঁধিবার রীতি ? জলে মুখখানা খুব ভাল দেখাচ্ছে ?” প্ৰসন্নময়ী হাসিয়া বলিলেন, “আয়না ভেঙ্গে গেছে, এমাসে টাকার অভাব-আসছে মাসে কোেনা হবে” । ব্ৰহ্মময়ী একথা শুনে আর বাড়ী ফিরিলেন না, তৎক্ষণাৎ বাজার হইতে অতি সুন্দর একখানা আয়না কিনিয়া উপস্থিত। তখন প্ৰসন্নময়ী আর