পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অমপ্ৰ্যা হয় । কুচবিহার-বিবাহ। ১৮৭৮ সালটী শিবনাথের জীবনে চির স্বরণীয়। এই একটা বৎসরের মধ্যে যে ঘোর পরিবর্তন তঁর জীবনে আসিয়া পড়িল, এমন আর কখন হয় নাই। কি আশ্চৰ্য্য, কুচবিহার-বিবাহের পূর্ব হইতেই তিনি ডায়েরি লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। এই ডায়েরিতে দিনের পর দিন কুচবিহার-বিবাহের আনুপূৰ্ব্বক সমুদয় ঘটনা, এবং সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের জন্মবৃত্তান্ত লিখিয়া গিয়াছেন । সুতরাং তঁর ডায়েরি হইতে উদ্ধৃত করিয়া তখনকার घछेन दब्रिदि । ৩০এ জানুয়ারি । ১৮৭৮,১৮ই মাঘ ১২৮৪ বুধবার ডায়েরিতে লিখিতেছেন - “ইতিমধ্যে বাবু লোকনাথ মৈত্র এক নূতন সংবাদ লইয়া আসিলেন। কুচবিহারের রাজার সহিত কেশব বাবুর কন্যার শীঘ্ৰ বিবাহ হইতেছে। কমিশনার সাহেব নাকি আগামী ৬ই মার্চ বিবাহ দিবার জন্য পীড়া পীড়ি করিতেছেন। কেশব বাবু এখনও শেষ উত্তর দেন নাই। আগামী মার্চে বিবাহ হইলে বড় পুটার বয়স চৌদও সম্পূর্ণ হইবে না। বিশেষ এ স্থলে বোধ হয় ১৮৭২ সালের তিন আইন খাটিবে না । এই আইন মতে বিবাহ করাইবার জন্য প্রচারকগণ লোকের উপর যথেষ্ট পীড়া পীড়ি করিয়া থাকেন। এক্ষণে সেই আইন পরিত্যাগ করা হইবে।”