পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ-জীবনী । سرا আবাসভূমি ছিল তাহাতে আর সংশয় নাই। নচেৎ ক্ষুদ্র একখানি গ্রামে ১০/১২ খানি টােল চতুষ্পাঠ থাকা কি প্রকারে সম্ভব ছিল ? ইংরাজগণ কলিকাতায় যখন রাজধানী স্থাপন করিলেন, তখনও দত্ত জমিদারগণ রাজশক্তি পরিচালন করিয়া মজিলপুর গ্রামবাসীদিগের হৰ্ত্তাকৰ্ত্তা বিধাতা রূপে বিরাজ করিতেন । তঁাহারাই ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতদিগের জ্ঞান এবং পাণ্ডিত্যের সমাদর করিতেন এবং তঁহাদিগের প্রতিপালক ছিলেন। ক্ৰমে ইংরাজের রাজ্য দৃঢ়মূল হইলে ইংরাজি শিক্ষা প্ৰচলিত হইল। তখন মজিলপুরের ব্রাহ্মণ প্রধান সমাজেও তাহার প্রভাব বিস্তৃত হইল। ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতগণ দেখিলেন যে সংস্কৃত চর্চা তাহাদিগকে দারিদ্র্যের কম্বল হইতে রক্ষা করিতে পারে না । তবু এমনি সংস্কার যে বহুদিন পৰ্য্যন্ত রাজসেবা এবং ইংরাজি শিক্ষার প্রতি মজিলপুরের ব্ৰাহ্মণ সমাজের দরুণ অশ্রদ্ধা পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান রহিল। শিবনাথের পিতাই সেকালে জ্ঞাতিবর্গের মধ্যে প্ৰথম রাজসেবা করেন, সেইজন্য তঁহাকে নিন্দাভাজন হইতে হইয়াছিল। সেই সময় পৰ্য্যন্ত মজিলপুরের ব্ৰাহ্মণসমাজে পুরাতন বিধি প্রবল ছিল। ১৮২৫ খৃষ্টাব্দ হইতে শিক্ষা বিষয়ে নবযুগের সুচনা হইয়াছে। বিশ বৎসরের মধ্যে এ ধারণা সকলের মনে বদ্ধমূল হইল যে ইংরাজি শিক্ষা ব্যতীত এ দেশবাসীর আর কোন প্রকার । উন্নতির আশা নাই। ১৮৪৫ সালে বঙ্গদেশের নানা স্থানে গবৰ্ণরজেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জের সময় অনেকগুলি আদর্শ বিদ্যালয় স্থাপিত। হয়,-সেই সালে মজিলপুরেও একটী বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বলিতে গেলে সেই সময় হইতেই ক্ষুদ্র মজিলপুর গ্রামে নবালোক প্রবিষ্ট হয়। হালিশহরের শ্যামাচরণ গুপ্ত মহাশয় এই বিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষক ছিলেন,-তিনি ছাত্রবৃন্দের ‘অন্তরে জ্ঞানস্পৃহা ও