পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

एभि उठाक्षTयू । SS আচাৰ্য্যের কাৰ্য্য হইতে অপসৃত করিবার প্রস্তাব লইয়া মহা তর্ক উপস্থিত হয়। তার পর কে সভাপতি হইবেন সেই প্রশ্ন লইয়া কিয়ৎক্ষণ বিবাদ হয়। প্ৰতিবাদীগণ। দুগামোহন দাস মহাশয়কে সভাপতির আসন গ্ৰহণ করিবার জন্য 'অনুরোধ করেন, কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয় তাতেও সম্মত হইলেন। দুৰ্গামোহন বাবু সভাপতির আসন গ্ৰহণ করিলে প্রতিবাদী দলের মুখপাত্র হইয়া শিবনাথ যেই প্ৰথম প্ৰস্তাব উত্থাপন করিবেন, অমনি কেশবচন্দ্ৰ সেন মহাশয় সদলে মন্দির পরিত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন। তৎপরে প্রতিবাদীগণ রামকুমার বিদ্যারত্ন প্ৰভৃতিকে আচাৰ্য্য মনোনীত ইত্যাদি কাৰ্য্য করিয়া সভা ভঙ্গ করিলেন । ইহার পরের ববিবার ভারতবর্ষীয় ব্ৰহ্মমন্দির লইয়া তুমুল ব্যাপার উপস্থিত হইল। ব্ৰহ্মমন্দির লইয়া ব্ৰাহ্মদিগের এই তুমুল সংগ্ৰাম দেখিবার জন্য শহরের লোক ভাঙ্গিয়া পড়িল । প্ৰতিবাদীগণ বেদী অধিকার করিতে পারিলেন না । মন্দির হইতে পুলিশের দ্বারা তাড়িত হইলেন। সেই দিন হইতে তারা ভারতবর্ষীয় ব্ৰহ্মমন্দির হইতে তাড়িত হইয়া অন্যত্র উপাসনার জন্য সমবেত হইতে লাগিলেন। ব্ৰাহ্মসমাজ পূর্বেই দ্বিধা হইয়াছিল আবার ত্ৰিদ্ধা হইয়া গেল। এখানে একটী কথা বলিয়া রাখি, শিবনাথ দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় প্রভৃতির সহিত ভাৱতবৰ্ষীয় ব্ৰহ্মমন্দিরে অধিকার স্থাপন করিতে যান নাই। সেই দিনকার মারামান্নি সংগ্রামের ভিতর তিনি ছিলেন না, মন্দিরের পাৰ্থে উপেন্দ্রনাথ বসু মহাশয়ের বাড়ীতে বসিয়া ছিলেন। মন্দির হইতে তাড়িত হইয়া সকলে যখন উপস্থিত হইলেন তখন সকলকে লইয়া তিনি উপেন্দ্ৰনাথ বসু মহাশয়েয় বাড়ীতে উপাসনা করিলেন।