পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ অধ্যায়। SSግ ৩০-এ আগষ্ট ১৮৮৭ মঙ্গলবাবে ডায়রিতে লিখিতেছেন“ঙ্কেরন্থের বাসাতে ব্ৰাহ্ম-মিশন প্রেস-সম্বন্ধে কথা বার্তা কহিবার জন্য গেলাম। দ্বারিবাবু উমাপদ, আদিবাবু, কুঞ্জ, কালীশঙ্কর, হেরম্ব, উমেশবাবু-সকলে থাকিয়া প্রেসেব আয় ব্যয় দেখিয়া দেখা গেল যে প্রেসটি সমাজে লাহতে ক্ষতি নাই--- সমাজ হহঁতে প্রেসটী বা খাই স্থিব হইল।” ১৮৮৬ সালে কিছুদিন হিমালয়ে কাবসিয়া নামক স্থানে শিবনাথ নবদ্বীপচন্দ দাস, বামকুমার বিদ্যাবস্ত্র এবং */শীভূষণ বসু। মহাশয় ধম্মসাধনের জন্য বাস করিয়াছিলেন । এখানে বাস কালে শিবনাথ “হিমাদ্রি কুসুম” নামে একখানি অতি সুন্দর কবিতাপুস্তক লিখেন । শিবনাথেৰ স্বাভাবিক কবিত্ত্বশক্তি কৰ্ম্মকোলাহলেব ভিতব চাপ পড়িয়ছিল, একটু অবসর পাইয়াই তােহা সুন্দব মূৰ্ত্তিতে ফুটিয়া উঠিল। বোধহয় ১৮৮৭ সালে শিবনাথ ‘আসাম অঞ্চলে দীর্ঘ প্রচারযাত্রা করেন, এবং ধুবড়ী, গোযালপাড়া, গৌহাটী তেজপুত্র, নওগা, শিবসাগর, শিলং সমুদায় প্রমণ করিয়া আসেন । পাব বৎসরে আর একটী বিশেষ পারিবারিক ঘটনা ঘটে । শিবনাথের পিতা হরানন্দ শৰ্ম্ম কাশীধামে কলেরায় মৃতকল্প হন । টেলিগ্রাম পড়িয়া শিবনাথ কনিষ্ঠ পন্থী বিরাজমোহিনীকে লইয়া কাশীধামে গেলেন । ব্ৰাহ্মসমাজে যোগ দেওয়া অবধি বিশ বৎসর হরানন্দ পুল্পের মুখদর্শন করেন নাই। এই পীড়াব সময় পিতাপুত্রে এমন মিলন হইল যে, পুত্ৰকে ছাড়িতে পিতার চক্ষু দিয়া জল পড়িল, যে হরানন্দ শৰ্ম্মার চক্ষে কেহ জল কখনও দেখে at