পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ অধ্যায়। R8S ব্ৰাহ্মসমাজের মধ্যে একদল লোক তঁর বিরুদ্ধে নানা কথা বলিতে লাগিলেন, যথা—“শাস্ত্রী গুরু হইতে চান, আত্মকর্তৃত্ব জাহির করিতে চান” ইত্যাদি । বন্ধুদিগের তীব্ৰ কটাক্ষে শিবনাথ অস্তরে দারুণ ব্যথা পাইলেন বটে, কিন্তু পশ্চাৎপদ হইবার লোক তিনি ছিলেন না । ১৮৯২ সালের ২রা সেপ্টেম্বর সমুদয় ব্ৰাহ্মবন্ধুগণকে আনন্দমোহন বসু মহাশয়ের ভবনে ভাকিয়া সাধনাশ্রম প্ৰতিষ্ঠা কবিবার প্রকৃত ভাব অতি সরল, অকপট ভাষায় তাহাদিগকে বুঝাইয়া দিলেন । তার মধ্যে আসল কথাগুলি এখানে উদ্ধত করি—“আমি বৈরাগ্য ও স্বার্থনাশ প্ৰবৃত্তির উৎকর্ষের দ্বারাই আধ্যাত্মিকতার উৎকর্ষের বিচার করি। আমার সংস্কার, বিগত ১৪ বৎসর আমাদের বৈরাগ্য ও স্বার্থনাশ প্রবৃত্তির বৃদ্ধি দেখা যায় নাই। সমাজের ধৰ্ম্মজীবনকে গাঢ় ও ঘনীভূত করিবার জন্য বিশেষ উপায় অবলম্বিত হয়। নাই । প্ৰথম এই ১৪ বৎসরের মধ্যে সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজের সভ্য এবং এতৎসংসৃষ্ট ব্যক্তিগণ কলিকাতা শহরে প্রায় আট দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি করিয়াছেন । কিন্তু প্রচারক সংখ্যা আট জন ছিল, ক্ৰমে চার জনে দাড়াইয়াছে। যে চায় জন আছেন তঁরাও এক হৃদয় এক প্ৰাণ হইয়া কাৰ্য্য করিতে পারিতেছেন না ।” “দ্বিতীয়তঃ-এই ১৪ বৎসরের মধ্যে আমাদের হাত দিয়া ও আমাদের চক্ষের উপর দিয়া কত ঘূব পুরুষ চলিয়া গোল যাহাদিগকে , এক সময়ে মনে হইয়াছিল যে, তারা ৰিষয় সুখের দিকে না চাহিয়া ব্ৰাহ্মসমাজের সেবাতে দেহ মান অৰ্পণ কিঙ্কিৰে, কিন্তু একে একে সকলেই বিষয় সুখের পশ্চাতে