পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ অধ্যায়। VSOSIOS পুষ্পমালার পত্রে পত্ৰে ছত্ৰে ছত্ৰে, ভগবৎ প্ৰেম স্বদেশ প্ৰেম সদ্ভাব ও কবিত্ব শক্তি উচ্ছসিত হইয়া উঠিয়াছে। হিমাত্রী কুসুম-১৮৮৬ সালে শিবনাথ কয়েকজন সাধক বন্ধুর সঙ্গে কারসিং-এ ছিলেন, তখন নিৰ্জনতা পাইয়া তার কবিত্ব শক্তি আবার জাগ্রত হয়। হিমাত্রী কুসুমে লোকশিক্ষার ভাবে অনুপ্ৰাণিত হইয়া অনেক গভীর অধ্যাত্ম তত্ত্ব কবিতার স্রোতে লিখিয়াছেন-কবিত্ব হিসাবে বইখানি পুষ্পমালার সমকক্ষ না হইলেও-ইহাতে খাটি কবিত্বের অভাব নাই। হিমাদ্ৰী কুসুমে মানবের নব জীবনলাভ, দীক্ষা, সৌন্দৰ্য্য, বিচ্ছেদ ও বৈরাগ্য বিষয়ক চারিটিী-কবিতা আছে। ধ্যানস্থা বিনোদিনীর বর্ণনাটি कि श्न्क्षद्र :- ধ্যানে মগ্ন বিনোদিনী, মুকুত গলিয়া বহে যেন দুকপোলে ! বায়ু দিবাকর উভয়ে ঝগড়া করে, সে মুখ চুম্বিয়া কে আগে শুখাবে অশ্রণ ! ভক্তিতে সুন্দর প্রস্ফুটিত মুখ পদ্ম দেয় ছড়াইয়া কি এক অপূৰ্ব্বভাব! বনের বানর বিস্ময়ে অবাক হয়ে সেই মুখ হেরে, বন্যপশু যায় আর চায় ফিরে ফিরে । পুষ্পাঞ্জলি-নােনা সময়ে রচিত অনেকগুলি কবিতা পুষ্পাঞ্জলি নামে প্ৰকাশিত হয়। ইহার মধ্যে সেণ্ট আগষ্টিনের দেশ ত্যাগ ভাইবোন ও মহেশ সর্দারের মত সুন্দর কবিতা বঙ্গ ভাষায় অতি অল্পই আছে।