পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V9\a শিবনাথ-জীবনী । তাহাই হইয়াছিল। জীবনের শেষ কয় বৎসর উভয়েই পুত্রগত প্রাণ হইয়াছিলেন। বঙ্গ-ব্যবচ্ছেদের পর দেশে যে তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হইল। তাহাতে হরানন্দ ভট্টাচাৰ্য প্ৰাণমন দিয়া পড়িয়া ছিলেন। যে ব্রাহ্মগণ র্তাহার আজীবন চক্ষুশূল ছিল, যাহাদিগের প্রতি বিদ্রুপ বাক্যবান বর্ষণ করিতে কখনই ছাড়েন নাই, সেই ব্ৰাহ্মদিগকে বিশেষতঃ সঞ্জীবনীর সম্পাদক কৃষ্ণকুমার মিত্ৰ মহাশয়কে তিনি অতিশয় ভালবাসিতে লাগিলেন। সৰ্ব্বদাই বলিতেন-“যদি মানুষ কেউ থাকে। বাংলা দেশে। তবে সে কৃষ্ণকুমার !” যে হরানন্দ ব্ৰাহ্মদের ভাষা, লেখা, চাল চলনের দিনরাত বিদ্রুপ করিতেন, পূর্বে সঞ্জীবনীর ভাষা লইয়া সৰ্ব্বদা ঠাট্টা করিতেন। সেই হরানন্দ প্ৰতি সপ্তাহে সঞ্জীবনী পাইবার জন্য ব্যস্ত হইতেন । স্বদেশী আন্দোলনের সময় দেশে এক সভা হয়। সভায় হরানন্দ অগ্নিময় বক্তৃতা • করিলেন এবং তার পর একজন মুসলমানের সক্তিত কোলাকুলি করিলেন। এই সেই হরানন্দ যিনি ব্ৰাহ্মণের ব্রাহ্মণ-সকলের নমস্ত । হরানন্দ ভট্টাচাৰ্য্য অতিশয় গুণগ্ৰাহী ব্যক্তি ছিলেন । সাহিত্যের সমালোচনায় অতিশয় আমোদ পাইতেন । সর্বপ্রকার শিক্ষার বিশেষতঃ স্ত্রী শিক্ষার জন্য তার বিশেষ উৎসাহ ছিল । স্ত্রী শিক্ষার হাতে খড়ি স্বরূপ পত্নী গোলোকমাণিকে উত্তমরূপে বাঙ্গলা ভাষা শিক্ষা দেন। ঠাকুরমাকে সেকালের একজন শিক্ষিতা নারী বলা যায়। মজিলপুরে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইলে তিনি কন্যাদিগকে বিদ্যালয়ে পাঠাইয়াছিলেন। ব্ৰাহ্ম সমাজে আসিয়া তার নাতনি যখন ইংরাজী শিক্ষা করিতে লাগিল তখন সে বিষয়ে তার কিছুমাত্র আপত্তি ছিল না । আমি যখন ভারতবর্ষের ইতিহাস লিখিয়া