পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । WS প্ৰকাশ্য জায়গা, অমন করে কি বলে ?” গোলোকমণি প্ৰশান্তভাবে উত্তর দিলেন “তোদের অনেক ভাগ্যি যে শিবের গালে ঠাস করে এক চড় মারি নি।”-ব্ৰাহ্মদের কাছে পুত্রের নাম করিতে হইলে বলিতেন,-“এই তোমাদের শিবনাথ শাস্ত্রী যখন ছোট ছিল, রাগ হলেই আমায় বলত ‘এক ঢ়িলে তোকে মেরে ফেলব।’ তা এক ঢ়িলেই আমায় মেরে ফেলেছে।” শিবনাথ অত্যন্ত মাতৃপিতৃভক্ত ছিলেন। যখন ধৰ্ম্মান্তর গ্ৰহণ করেন, সেই সময় তাহার পিসতুতো ভাষ্টিকে যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহাতে লিখিতেছেন ঃ- 灣 “মেজ দাদা, এখন বলিলে কেহ মানিবেন না । কিন্তু তথাপি আমি বলি-যদি কেহ বলেন যে আমি অপেক্ষা তার পিতৃভক্তি কি মাতৃভক্তি অধিক তাহা স্বীকার করি না, তবে আমি পিতামাতার আদেশ অপেক্ষা ভগবানের আদেশ প্রতিপালন অধিক বলিয়া বিবেচনা করি ।” আর এক পত্রে পিতাকে লিখিতেছেন ঃ ১২৭৬ সােল ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ বৃহস্পতিবার। “যেদিন আমার ভক্তি সাধন হইবে সেদিন আমার সুপ্ৰভাত হইবে, তখন আপনাকে মনের ধারণা আপনা হইতেই দূর করিতে হইবে । তখন আপনাকে আপনা হইতেই বাৎসল্য ভাবে আমাকে আলিঙ্গন করিতে হইবে। ইতা হবেই হবে, হবেই হবে।” শিবনাথের জন্য র্তাহার জনকজননী যাবজীবন যেরূপ ক্লেশ পাইয়াছিলেন, তাহ দেখিয়া স্বতঃই তঁাহার দেশের লোক তঁহাকে “পাষাণ হৃদয়” “পাষণ্ড” বলিয়াছে, কিন্তু ভক্তিমান সুপুত্র শিবনাথ আজীবন একদিনের জন্যও পিতামাতার নিদারুণ কষ্ট্রের কথা