পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । 8v) করিতেছেন দেখিয়া কন্যা कूश्म विण-‘दांव (कन ईांछ, १gg যাবে যে ” হিরানন্দের একথায় রাগ হইল-“কেন আমি বালক কি না, তাই চলতে গেলে পড়ে যাবো।” বেশ কথা বলিতেছেন, জ্ঞান সম্পূর্ণ আছে, কবিরাজ নাড়ী দেখিয়া বলিলেন—“আর দেয়ী নাই, ঘাটে নাও ” ধরাধরি করিয়া সকলে নামাইলে ভাগিনেয় কানে নাম শুনাইতে লাগিলেন। একবার বলিলেন “মামা, নাম করে।” তখনও হরানন্দের সে কথা সহ্য হইল না । তিনি বিরক্ত হইয়া বলিয়া উঠিলেন-“মরবার সময় নাম করছি নান্ত করছি কি ?” একথা বলিতে না বলিতে সেই তেজস্বী পুরুষের তেজোদীপ্ত আত্মা দেহ পিঞ্জর ছাড়িয়া অনন্তে মিশাইল । মজিলপুরনিবাসী খ্যাতনামা হারাণচন্দ্র রক্ষিত হরানন্দ ভট্টাচাৰ্য্য সম্বন্ধে বাঙ্গালা সাহিত্য বিষয়ক পুস্তকে যাহা লিখিয়াছেন তাহা এইস্থানে উদ্ধত করিতেছি :- “মজিলপুরনিবাসী পণ্ডিত হরানন্দ দক্ষিণাঞ্চলের একজন গণনীয় ব্যক্তি। সাধারণ ব্ৰাহ্ম-সামাজের আচাৰ্য্য সুপ্ৰসিদ্ধ শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয়ের ইনি জুম্মদাতা পিতা। তেজস্বী ত্যাগী নিলোেভ ব্ৰাহ্মণ, একরূপ রাজা ছেলের মায়া ত্যাগ করিয়া কষ্ট্রে জীবনযাপন করিয়াছিলেন তথাপি সংকল্পচু্যত হন নাই । সংস্কৃত সাহিত্যে ও অলঙ্কারে তঁাহার বিশেষ বুৎপত্তি ছিল। তঁহার সুপ্ৰসিদ্ধ নলোপাখ্যান নামে সাহিত্য গ্ৰন্থ একটু নিবিষ্ট চিত্তে পড়িলে মনে হয় যেন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কোন লেখা পাঠ করিতেছি ; কিন্তু নিয়তিই সৰ্বমূলাধার, তাই দরিদ্র ব্ৰাহ্মণ হরানন্দ-সেই সদানন্দ পুরুষমফস্বলের একটী ক্ষুদ্র পল্লীতে আপন মনে হাসিয়া খেলিয়া নিরহঙ্কার