পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bም শিবনাথ-জীবনী । সময় উঠিয়া দেখিয়াছি তিনি কাৰ্য্যে মগ্ন আছেন। আমার বয়সের মধ্যে র্তাহাকে কখনও ঘুমাইতে দেখিয়াছি। এরূপ মনে হয় না। “প্ৰভাকর” ও “ভাস্কর” প্ৰভৃতি বঙ্গসমাজের নৈতিক বায়ুকে দুষিত করিয়া দিয়াছিল। সোম প্রকাশের প্রভাবে তাহা দিন দিন বিশুদ্ধ হইতে লাগিল। সোমবার আসিলেই লোকে “সোমপ্রকাশ” দেখিবার জন্য উৎসুক হইয়া থাকিস্ত। যেমন ভাষার বিশুদ্ধতা ও লালিত্য, তেমনি মনের উদারতা ও যুক্তিযুক্ততা, তেমনি নীতির উৎকর্ষ । তিনি সোমপ্রকাশে যাহা লিখিতেন তাহার একপংক্তিও কাহারও তুষ্ট সাধনের প্রতি দৃষ্টি রাখিযা লিখিতেন না। লোক সমাজে আদৃত হইবাব লোভে, লোকের রুচি ও সংস্কারের অনুরূপ করিয়া কিছু বলিতেন না। যাহা নিজে সমগ্ৰ হৃদয়ের সহিত বিশ্বাস করিতেন, তাহা হৃদয় নিঃস্থত অকপট ভাষাতে ব্যক্তি করিতেন । তাহাই ছিল সোমপ্রকাশের সর্বপ্ৰধান আকর্ষণ । তঁহার হাতে সোমপ্রকাশ যতদিন ছিল, ততদিন ইহা সৰ্ববিধ দেশের ও সমাজের উন্নতির পক্ষপাতী ছিল। যাহা ক্ষুদ্র, যাহা লঘু যাহা কেবলমাত্র প্রতিপ্ৰদ। কিন্তু রুচি সম্বন্ধে হীন, সোমপ্রকাশ তাহার ত্ৰিসীমায় যাইত না । এই সোমপ্রকাশের অভু্যদয় বঙ্গীয় সাহিত্যকে ও বঙ্গ সমাজের চিত্তকে অনেক পরিমাণে বিশুদ্ধ উন্নত করিয়া তুলিয়া ছিল।” শিবনাথ এই প্রকার মাতুলের ভাগিনেয়। তাহার মাতামহ হরচন্দ্ৰ ন্যায়রত্নও একজন প্ৰসিদ্ধ সংস্কৃত পণ্ডিত ছিলেন। কলিকাতার কাসারিপাড়াতে তার টােল চতুস্পাঠি ছিল। তিনি কিছুদিন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের “প্রভাকরা” পৃত্রিকার সম্পাদন কাৰ্য্যে প্ৰধান সহায় ছিলেন ; এবং হেয়ার সাহেবের প্রতিষ্ঠিত