পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিরনাথ-জীবনী । দিয়াছিলেন ' যে যখন যেখানে থাকিতেন, সকলের ভালবাসা আকর্ষণ করিতেন। বিদ্যালয়ের বন্ধু দিগকে অকপটে ভালৰাসিতেন, ঔহারাও শিবনাথকে অত্যন্ত ভালবাসিত। তাহদের বাড়ী গিয়া, তাহাদের মা মাসীকে পাইয়া, মাতা ভগ্নীর অভাব বিস্মৃতি হইতেন। নচেৎ শিবনাথের জীবন বোধ হয় সাহারা মরুভূমি হইয়া যাইত। বাদুড়বাগানে এই প্ৰকার কষ্ট ও অসুবিধার ভিতর বাস করিতে হইত। হরানন্দ দেখিলেন, এভাবে পুত্রের পড়াশুনা হওয়া অসম্ভব। কাজেই তখন আমাদপুরের জমিদাবি মহেশচন্দ্ৰ চৌধুরীর ৰাড়ীতে থাকিবার বন্দোবস্ত করিয়া গেলেন। অতি সুকুমার বয়সে কলিকাতায় আসা পৰ্য্যন্ত তিনি ষে প্ৰকার কষ্ট পাইযা আসিতেছিলেন, তাহতে এই বড় আশিক্ষাৰ্য্যের কথা যে, তিনি কি করিয়া বাচিয়া থাকিয়া লেখা পড়া শিখিয়াছিলেন-কেবল কি তাই, চরিত্র রক্ষাই বা কি করিয়া করিলেন । এমন কষ্টের डिउन ऊँद्र छांव औरन कांशिा छिल! भश्लिष्ठ 65ोभूौन বাড়ীতে আশ্রয় পাইলেন বটে, কিন্তু কোথায় সংস্কৃত কলেজ আর কোথায় ভবানীপুর! অধিকাংশ সময় ভবানীপুর হইতে কলেজে হাঁটিয়া আসা যাওয়া করিতেন ; সে কি অল্প পরিশ্রমের ব্যাপার ? তবু চৌধুরী মহাশয়দিগের বাড়ীতে এক প্রকার সুখেই তঁহার দিন কাটিতে লাগিল। রান্না ভাত দুটী বেলা পেট ভরিয়া খাইতে পাইতেন। চৌধুরী মহাশয় অতি সদাশয়, উদার চেতা মানুষ ছিলেন। মহেশচন্দ্ৰ চৌধুরীর খুড়তুতো ভাই শ্ৰীশচন্দ্র চৌধুৰী শিবনাথকে অতিশয় দেহা করিতেন। দুজনের ভিতর, সেই সময় প্ৰগাঢ় বন্ধুত্ব জন্মে। শিবনাথের প্রথম কবিতা