হেমন্ত,
তোমার পত্র পেয়ে সুখী হইলাম। আমার মনে হয় তুমি একসঙ্গে বড় বেশী কাজ হাতে নিয়েছ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা কাজে মানুষের যথেষ্ট শক্তি ব্যয় হয়—তার উপরে দোকান এবং তার উপরে আরও কত কি! তুমি যখন বুঝিতে পারিতেছ যে শরীর দিন ২ খারাপ হচ্ছে— তখন এইরূপ আচরণের কোন কারণ থাকিতে পারে না। আমাদের দেশের জলবায়ুর দোষ যে যাহারা কোন কাজ করে না তাহারা কিছুই করে না আর যাহারা করে তাহারা বড় বেশী করিতে চেষ্টা করে এবং একদিনের ভিতরে সব কাজ করিতে গিয়া শরীর এবং সব হারাইয়া বসে। তোমার যখন পূর্ব্বেকার প্রস্তাব ছিল P. R. S.-এর জন্য চেষ্টা করা এবং তৎসঙ্গে শিক্ষকতা করা তখন বোধ হয় দোকানের ব্যাপারে হাত না দিলেই ভাল করিতে। মানুষ যদি কোন স্থায়ী কাজ করিতে বাসনা করে তাহা হইলে তাহাকে বহু বৎসর ধরিয়া সেই কাজে নিযুক্ত থাকিতে হইবে—২।১ বৎসরে তাহা সম্ভবপর নয়। অতএব তোমার যদি কোন বাসনা থাকে দেশের জন্য কোন স্থায়ী কাজ করিতে—তবে তোমার এরূপ ভাবে কাজ করা উচিত—যাহাতে বহু বৎসর ধরিয়া কাজ করিবার শক্তি থাকিবে। অবশ্য কোন দিন কাহার যাবার ডাক আসিবে কেহ বলিতে পারে না—কিন্তু তা বলে আগে থেকে গলায় ছুরি দিয়ে কোন লাভ নাই বা অতিশয় পরিশ্রম করিয়া শরীর নষ্ট করে কোন লাভ নাই। আমার লেখা বড় কড়া হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস তুমি আমাকে ভুল বুঝিবে না। দুঃখের বিষয় তুমি বড় বেশী কাজ হাতে নাও এবং সময়ে ২ শরীর সমর্থ না
৮৪