বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 পাশ্চাত্য দর্শনশাস্ত্র আমার যৎকিঞ্চিৎ পড়া আছে।

 (২) আপনারা যদি কোন দৈনিক খবরের কাগজ ইংরাজীতে প্রকাশ করেন, তাহা হইলে আমি Sub-Editorial Staff-এ কাজ করিতে পারি।

 (৩) আপনারা যদি ‘কংগ্রেসের’ সংক্রান্ত একটা research department খোলেন, তাহা হইলে আমি তাহাতেও কাজ করিতে পারি। আমার গত পত্রে আমি এ সম্বন্ধে খানিকটা লিখিয়াছি। আমার মনে হয়, এক দল research students আমাদের চাই। তাহারা জাতীয় জীবনের এক একটা সমস্যা লইয়া সেই সম্বন্ধে facts সংগ্রহ করিবে। কংগ্রেস তারপর একটা Committee নিযুক্ত করিবে—এই Committee সেই সব facts বিবেচনা করিয়া প্রত্যেক বিষয়ে কংগ্রেসের একটা policy ঠিক করিবে।

 Currency and Exchange সম্বন্ধে আমাদের Congressএর কোন বিশিষ্ট Policy নাই, তারপর Labour and factory legislation সম্বন্ধেও কংগ্রেসের কোন বিশিষ্ট Policy নাই। তারপর Vagrancy and Poor Relief সম্বন্ধে আমাদের কংগ্রেসের কোনও বিশিষ্ট policy নাই, তারপর ‘স্বরাজ’ পাইলে আমাদের Constitution কি রকম হইবে, সে সম্বন্ধেও বোধ হয় কংগ্রেসের কোন বিশিষ্ট Policy নাই। আমার নিজের মনে হয় যে, Congress-League Scheme একেবারে পুরানো হয়ে গেছে। স্বরাজের ভিত্তির উপর আমাদের এখন ভারতের Constitution তৈয়ারী করিতে হইবে।

 আপনি অবশ্য বলিতে পারেন যে Congress এখন existing order ভাঙ্গিতে ব্যস্ত। সুতরাং ভাঙ্গার কার্য্য সম্পূর্ণ না হইলে Constructive কাজ আরম্ভ করা অসম্ভব, কিন্তু আমার মনে হয় যে, এখন থেকেই ভাঙ্গার সঙ্গে সঙ্গে নূতন করিয়া সৃষ্টি আরম্ভ করিতে হইবে। জাতীয় জীবনের যে-কোন সমস্যা সম্বন্ধে একটা Policy

১০৯